
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের একজন ইউপি সদস্যকে বরখাস্তের দাবীতে চেয়ারম্যানসহ ১১ জন ইউপি সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
ঘটনাটি চিরিরবন্দর উপজেলার ৯নং ভিয়াইল ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনে (৭,৮,৯)নং এর ইউপি সদস্য শ্রীমতী উষা রানী রায়ের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফ্রেরুয়ারী রবিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক শাহ এর কার্যালয়ে মাসিক সমন্ময় সভায় মার্তৃত্বকালীন ভাতা বিষয়ক আলোচনা সভায় ইউপি সদস্য লোকনাথ রায়ের সঙ্গে বাক তর্কে জড়িয়ে পরেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শ্রীমতি ঊষা রানী রায়। এসময় ইউপি সদস্য উষা রাণী রায় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজের এক পর্যায়ে সবার উপস্থিতিতে চেয়ার থেকে উঠে এসে ইউপি সদস্য লোকনাথ রায়ের গলা চেপে ধরার জন্য উদ্যত হন।
পরে অন্যন্য ইউপি সদস্যগণ দুজনকে ধরে সরিয়ে দিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।এতে মাসিক মিটিং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার পরে ভিয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে গত ৯ ফ্রেরুয়ারী বৃহস্পতিবার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক শাহ্ সহ ১১ জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র চেয়ারম্যানের মারফতে তার প্রতি অসৎ আচরনের অভিযোগ এনে তাকে বরখাস্তের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক শাহ্ বলেন, "মাসিক সভায় তার এই কর্মকান্ডে আমরা বিব্রত হয়েছি। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে এর আগেও অসৎ আচরন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সকলে তার বরখাস্তের দাবী জানাচ্ছি"।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শ্রীমতী উষা রানী রায় বলেন, "এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই। ওরা যা ইচ্ছা তাই করুক"।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খালিদ হাসান বলেন, "বিষয়টি আমি জানি। তাদেরকে শুনানির জন্য ১১ ফ্রেরুয়ারী শনিবার বলা হয়েছিলো। কিন্তু উষা রাণী অনুপস্থিত ছিলো। পুনরায় তাদের সবাইকে ডাঁকা হয়েছে। শুনানিতে বুঝা যাবে কি হবে"।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: