
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা কুয়াদা ভোজগাতি গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে মারপিটের ঘটনায় কুয়াদা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জনের নামে মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভোজগাতি গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৭) বাদি হয়ে গত ২১ জানুয়ারি মনিরামপুর থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিরা হলো- ভোজগাতি গ্রামের মৃত হামিদ আলী গাজীর ছেলে মহিউদ্দিন গাজী (৫২), মৃত বদর উদ্দিন গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৪), জিয়াউর রহমান (৪১), আসাদুজ্জান (৩৬), জসিম উদ্দীনের ছেলে সুজন হোসেন (২৫), আসাদুজ্জামানের ছেলে সাগর হোসেন (১৮), এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সিরাজসিংগা গ্রামের সদর আলীর ছেলে মিজানুর রহমানসহ (৪৬) অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন। বাদি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে,আসামিদের সাথে তার জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি আনুমানিক রাত ৮ টার সময় সে কুয়াদা বাজারস্ত ভোজগাতি মোড় সংলগ্ন মুন্জুর আক্তারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে বসে থাকাকালীন বিবাদীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগ সাজসে অর্তকিতভাবে তাদের হাতে থাকা লোহার রড,বাঁশের লাঠি, দা, হাতুড়ি নিয়ে উক্ত স্থানে এসে এলোপাতাড়ি মারপিট করে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে। তখন তার ডাকচিৎকারে আশপাশ হতে কবির হোসেন, মেহেদী হাসান, ইমন হোসেন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ তাদেরকেও লোহার রড,বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলোফোলা জখম করে। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের ডাকচিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তখন আসামিরা তাদেরকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থাল ত্যাগ করে। তখন স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত মনিরাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।এছাড়া ও আসামিগণের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মনিরাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: