
ছবি- ভিডিও থেকে সংগ্রহ
গত বুধবার শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ( লাউড়ী) সাবেক মেম্বর মুজিবর রহমানের বাড়িতে উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামের বিল্লালের মেয়ে ৯ বছরের এক সন্তানের জননী রিমা বেগম (২৪) মেম্বারের ছেলে রাসেল (২১) এর সাথে বিবাহের দাবিতে সকালে পেটপুরে খেয়ে এসে অনশন পালন করতে থাকে। ঘটনার দিন কাক ডাকা ভোরে কয়েকজন লোক মোটরসাইকেল যোগে এসে হাজির হয় মুজিব রহমানের বাড়িতে। এসময় মোটরসাইকেল শব্দ শুনে মুজিবের মা আসেন দেখতে তখন মোটরসাইকেল আসা লোকজনের মধ্যে একজন প্রশ্ন করে এটা কি মেম্বর এর বাড়ি। উত্তরে বয়োবৃদ্ধ মহিলা উত্তর দেয় হ্যাঁ, কিন্তু তোমরা কারা? মোটরসাইকেল আরোহীরা কোন উত্তর না দিয়ে চলে যান বাড়ির পশ্চিম দিকে। তারা চলে যাওয়ার ১০ মিনিট পর সাইফুলের বউ এসে আমাদের গেটের সামনে বসে পড়ে রাসেল রাসেল করে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। এবং ঐ মোটরসাইকেলে আসা লোকজনেরা ফোন ও ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে থাকেন এমটাই জানালেন বৃদ্ধা।
ঘটনার দিন সকালে কয়েকজন সাংবাদিক দফায় দফায় লাইভ করে ফেসবুক। লাইভের সূত্র ধরেই জানা যায় উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামের বিল্লালের মেয়ে রিমার বেগমের বিবাহ হয় উপজেলার লাউড়ী গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড এর মুরগী ব্যবসায়ী সাইফুলের (৩০) সাথে দশ বছর আগে। সংসারে তাদের ৯ বছরের একটা ছেলেও রয়েছে। এলাকায় তথ্য সূত্রে পাওয়া যায় গৃহবধূ রিমা গত ছয় মাস আগে মারুফ নামের আরও একজন ছেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে সেই ছেলেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ টাকা।
এবং আরও জানায়া বর্তমান স্বামীকে তালাক না দিয়ে আবারও ওই গৃহবধূ বিয়ের দাবিতে শ্বশুর বাড়ি পাশেই অবস্থান নিয়েছে এলাকার সাবেক মেম্বার এর বাড়িতে। অবস্থান নিলে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয় এবং অসংখ্য নারী পুরুষ ওই বাড়িতে ভীড় করতে থাকে। এসময় একাধিক ব্যক্তি (রিমা) মহিলার বিরুদ্ধে মুখ খুলেলেও কোন সাংবাদিক সেটা প্রচার করে নাই।
এসম কতিপয় সাংবাদিক বিভিন্ন স্থানে ফোন করতে থাকে এসম এক প্রকার জিম্মি হয়ে যার মেম্বরের পরিবার। বাধ্য হয়ে ঘরের বারান্দায় গ্রীলে তালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন পরিবারের সবাই। এমন সময় একজন সাংবাদিক মেয়েটির কানে কানে কি যেন বলে এবং গোয়াল ঘরের মই দেখিয়ে দেয়। তখন রিমা মই দিয়ে ঘরের সাদে উঠে এরং রাসেলের ঘরে প্রবেশ করতে গেলে রাসেল তিন বন মেরেটিকে সাদ থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করলে সেই দৃশ্য ভিডিও করে কতিপয় সাংবাদিক ভিডিওতে মারপিট করা হয়েছে বলে চালিয়ে দেয় যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পরে পুলিশ রিমাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার পথে মেয়ের বাবা বিল্লাল মেয়েকে থানায় নেওয়ার পরিবর্তে হাসপাতালে ভর্তি করেন রাসেলের পরিবারের নামে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলার নাটক সাজানোর জন্য। এক পর্যায়ে রিমার উপস্থিতিতে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে পাশের বেডের রুগী ও তাদের লোকজন। তবে আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি গায়ে কোন মারের চিহ্ন এমনটাই বললেন হাসপাতালের পরিচারিকা। অবশেষে লজ্জার দায় এড়াতে রোগী নিজেই ছুটি নিয়ে গেলেন বাড়িতে। সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হবে এমনটাই বললেন ডাক্তার।
পুরো ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ও আমাদের হাতে থাকা গৃহবধূর এক কল রেকর্ড থেকে জানতে পেরেছি পুরো বিষয় টি ঘোলাটে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

undefined
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: