চিরিরবন্দরে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার।। | প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২ ১৬:২৮

স্টাফ রিপোর্টার।।
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২ ১৬:২৮

ফাইল ফটো

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দ্বাপর যুগের শেষ ভাগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, শ্রী কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুষ্টের দমন করে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মানুষ রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায় উপবাস, পুজা-অর্চনা ও কৃষ্ণ নাম সংকীর্তনসহ বিভিন্ন আচার উপাচারের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।

সারা দেশের ন্যায় চিরিরবন্দর উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি ও বাংলাদেশ মহানাম সংকীর্তন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার বিকালে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চিরিরবন্দর উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সভাপতি তাপস কুমার বর্মন (লিটন) এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ খালিদ হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কুমার সাহা, মোঃ বজলুর রশিদ, অফিসার ইনচার্জ চিরিরবন্দর, দিনাজপুর প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু, নিখিল রঞ্জন রায়, প্রভাষক চিরিরবন্দর মহিলা কলেজ, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তরু বালা রায়, সাঁইতাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার রায়, আউলিয়াপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান, আব্দুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, ভিয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাপষ কুমার রায় (সানু), এ্যাডভোকেট অনিমেষ রায় প্রমুখ। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাবু নিরেন্দ্র নাথ রায়।

বক্তারা বলেন, শ্রী কৃষ্ণ যে প্রেমময় জীবন দেখিয়েছেন, সেই প্রেমময় ভাবদ্বারা সিক্ত হয়ে প্রতিটি মানুষকে বড় মনে করতে হবে। কারণ মানুষ যদি না থাকে, মানুষের অস্থিত্ব যদি না থাকে, যদি বিলীন হয়ে যায় তবে ধর্ম থাকবে না। ধর্মও বিলীন হয়ে যাবে। অন্যদিকে কোন ধর্মই মানুষকে বিচার করার ক্ষমতা দেয়নি। কিন্তু আমারা কিছু কিছু মানুষ বিচার করে বলছি, তোমরা যদি এই কাজ কর তবে নরক নিশ্চিত। এটা ঠিক না, কে নরকে যাবে আর কে স্বর্গে যাবে এটা এক মাত্র সৃষ্টি কর্তাই বলতে পারবেন । আমাদের উচিত মানুষকে সুপথে আনা, ভালো মন্দ বুঝানো। তবেই সমাজ সুন্দর হবে। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশের । আসুন আমরা সবাই এক সাথে কাজ করি। শ্রী কৃষ্ণের বাণীকে ধারন করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের আজকে অঙ্গীকার ।
এসময় ভক্তবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: