
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুয়াদা বাজার থেকে সাড়াপোলের পিচ ও সোলিং রাস্তাটি দীর্ঘদীন ধরে মরণ ফাঁদে পরিণত যার দেখার কেউ নেই? জানাযায়, এ রাস্তাট এলাকার মানুষের একান্ত নির্ভরশীল অবহেলিত রাস্তাটি নিয়ে যেন কারও কোন মাথা ব্যথা নেই জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়েই আসছে বছরের পর বছর কিন্তু মেরামতের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউই। কুয়াদা বাজার থেকে ডহর সিঙ্গা মসজিদ পর্যন্ত পিচ উঠে গর্তে পরিণত হয়েছে তারপর থেকে ৭ কিঃমিঃ সাড়াপোল বাজারের সোলিং রাস্তাটির যত্রতত্র ইট উঠে গর্তে পানি জমে চলাচলে অনুপযোগী হওযায় এলাকার মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই রাস্তাটিতে রামনগর ইউনিয়নের ও সাড়াপোলের কমপক্ষে ৪/৫ টি গ্রামের লোকজন এ রাস্তা দিয়ে যশোর কুয়াদা বাজার ও শহরে যাতায়াত করে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষকে । রাস্তা খারাপ হওয়ায় এলাকার মানুষ যশোর শহরে যেতে দারুণ দুর্ভোগের শিকার হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সময় আয় অপেক্ষা ব্যয় বেড়েছে খুব বেশি। তাই চালকরা জানান সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে তারা। এ রাস্তাটি প্রতিদিন, ভাড়াবাহী মোটরসাইকেল, ভ্যান, নসিমন, আলমসাধুসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান,প্রতিদিন দোকানের মালপত্র আনতে বাজারে যেতে হয়। রাস্তাা খারাপ হবার কারণে চলাচল করা যায় না। রাস্তাটি অনেক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা আরও জানান, এলাকার মানুষের জরুরীভাবে কোন মূমূর্ষ রোগী যশোর সদর হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন হলে দ্রুততম নিতে পারে না। ফলে রোগীর জীবনের ঝুঁকি হয়ে পড়ে। এলাকায় কোন অগ্নিকান্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয় বলে স্থানীয়রা জানান। এ কারণে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। তাদের উৎপাদীয় ফসল বাজারে নিতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়। তাছাড়া মালামাল বাজারে নিতে অধিক সময় খরচ হয়। পাশাপাশি এলাকার চাকরিজীবি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। এ পাকা রাস্তাা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এলাকার সকল স্তরের মানুষের চরম দুর্ভোগের শিকার।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: