
স্টাফ রিপোর্টার : "আকাশ তুমি সরে যাও, আমি মাথা তুলে দাঁড়াবো! " এমন হাজারও অনুকাব্যের প্রবক্তা,
২০১৮ সালের ইস্পাহানী মির্জাপুর - চ্যানেল আই এর নির্বাচিত বাংলাবিদ ও মানবতার সেবক জন সাব্বির রানা'র ১৯তম শুভ জন্মদিন আজ। ২০০৩ সালের ১৬ জুন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাকুনদি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বাংলাবিদ জন সাব্বির রানা বিশ্বের অন্যতম মানবতাবাদী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্টার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য, সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ (এসএসপি) এর যশোর জেলা সমন্বয়কারী, অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশের গর্জন এর নির্বাহী সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনা'র সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক জেমস আব্দুর রহিম রানা'র বড় সন্তান।
অসাধারণ মেধাবী ও বুদ্ধিমত্তার সাথে বেড়ে ওঠা মানবতার সেবক জন সাব্বির রানা ২০১৮ সালে খুলনার ঐতিহ্যবাহী রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যায়নকালে ইস্পাহানী মির্জাপুর-চ্যানেল আই খুলনার করোনেশন গার্লস স্কুলে আয়োজিত বাংলাবিদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং অদম্য মেধাবী হিসেবে বাংলাবিদ নির্বাচিত হন।
তার পিতা যশোরের মণিরামপুর উপজেলাধীন খাকুনদি গ্রামের কৃতি সন্তান, রূহানী চার্চ বাংলাদেশ ট্রাস্টের জাতীয় পরিচালক ও বিশিষ্ট
সাংবাদিক নেতা জেমস আব্দুর রহিম রানা বলেন, দিনটি আমার ব্যক্তি জীবনের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। সে যখন ভূমিষ্ঠ হয় আমি তখন বাংলাদেশ বেতার খুলনা'র একজন তালিকাভুক্ত কথক হিসেবে বেতার ভবনের রেকর্ডিং স্টুডিওতে জীবনের প্রথম একটি অনুষ্ঠানে সরাসরি কন্ঠ দিচ্ছিলাম। এমন একটি স্মরণীয় মূহুর্তে তার পৃথিবীতে আগমন আমার জন্য মহা আনন্দদায়ক একটি দিন।
তিনি বলেন, সে ছোটবেলা থেকেই অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন স্বভাবের ও আলাদা মানসিকতার মানুষ। দরিদ্র মানুষকে সামান্য কিছু দান করতে পারলেও সে আনন্দিত হয়। কোন কোন সময় নিজের পোষাক, খাতা কলম এমনকি পড়ার বই পর্যন্ত দরিদ্র সহপাঠীদের দান করে দিয়ে আসে। সে চলতি বছরের (১৯ জুন'২২) অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় মণিরামপুর উপজেলার স্বনামধন্য ভবানীপুর রামোত্তম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী একজন পরীক্ষার্থী। ইতিমধ্যে সে নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক শিশুদের নিয়ে নৈতিক শিক্ষা ও শিক্ষাক্ষেত্রে ঝড়েপড়া রোধে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে মানবতার সেবক হিসেবে সুখ্যাতি অর্জনে সক্ষমতা লাভ করেছে।
মানবতার সেবক বাংলাবিদ জন সাব্বির রানা এখন থেকেই স্বপ্ন দেখে নিজের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে একটি অনাথ আশ্রম গড়ে তোলার। আজ (১৬জুন'২২) তার ১৯ তম জন্মদিনে আমি তার সকল স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।
এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে "শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব" দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাবিদ জন সাব্বির রানা জানান, আমরা অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পিছনে ছুটতে গিয়ে হাফিয়ে উঠি। পরীক্ষার খাতায় ফেল করলেই ভেঙ্গে পড়ি, এমনকি আত্মহত্যার মতো অমানবিক পথ বেছে নেই। কখনো ভেবে দেখিনা পাশ করতে পারি নাই তো কি হয়েছে, নিউটন, আইনস্টাইন, আব্রাহাম লিংকন, বিলগেটস, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মহাত্মা গান্ধী এদের মত অনেক বিখ্যাত মনিষী এসব কাগজ কলমের পরীক্ষায় পাস করতে পারেন নাই । ক'টা কাগজ আমার ভাগ্য নির্ধারন করতে পারে না! তাই আমাদেরকে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের দেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে হবে। মানবিকতার চর্চা করতে হবে, মানবিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে।
শিশু বয়স থেকেই মানবতার সেবায় নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আমারদের জীবনে হুঙ্কার দিয়ে বলছি আমার আমার, আসলে আমার বলতে কি আছে? আর তাই বা কতদিন থাকবে কে বলতে পারে? আমরা কি কখনো ভাবছি এই সুন্দর পৃথীবিতে বসবাস করছি যিনি জগতে পাঠিয়েছেন তাকে কি দিচ্ছি, আসলে আমারদের ব্যাবহার দ্বারা তিনি কি সন্তুষ্ট? আসুন আগে নিজেকে চিনি এবং অন্যের শুভ কামনা করি, তার সাথে সৃষ্টিকর্তার কাছে শক্তি চাই সৎ পথে চলার। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সকলের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: