
মাগুরা প্রতিনিধি।। গত শনিবার বাচ্ছাদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চিত্রা মডেল কলেজের আইসিটি শিক্ষক মিলন হোসেন কর্তৃক প্রেমচারা পূর্বপাড়া এতিমখানা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র শিশু রাফসান (৮) কে বেধড়ক মারপিটের করে।
শিক্ষক মিলনের বাড়ির পাশে মাদ্রাসার খেলার মাঠে বাচ্ছারা ফুটবল খেলছিল সেখানে শিক্ষক মিলনের ছেলেও খেলছিলো।
খেলাকে কেন্দ্র করে বাচ্ছাদের ভেতরে ধাক্কাধাক্কি হয়, এমত অবস্থায় শিক্ষক মিলনের ছেলে বাবাকে ডেকে আনলে কোন বাচ্ছাদের কথা না শুনে পাষন্ডের মত কলেজ শিক্ষক নিজ বাচ্ছার কথা শুনে মাদ্রাসার ছাত্র রাফসান (৮) কে মারতে থাকে, মারের এক পর্যায়ে রাফসানকে ধরে নিয়ে আরো নির্যাতন করার জন্যে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাবার জন্যে প্রস্তুতি নিলে মাদ্রাসার শিক্ষক ইমদাদ ছুটে এসে পাষন্ড শিক্ষক মিলনের কাছ থেকে শিশু রাফসান কে কেড়ে নেই, তখনি মাদ্রাসার শিক্ষক ইমদাদ কলেজ শিক্ষক মিলনের কাছে জানতে চাই কেন সে তার প্রতিষ্টানের ছাত্রকে মারলেন, যথা উত্তর না দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ইমদাদকে হুমকি দেয় ও বিষয়টি কারো কাছে না বলার জন্যে বলে ঐ পাষন্ড কলেজ শিক্ষক।
এদিকে আহত অত্র মাদ্রাসার ছাত্র রাফসানকে মাদ্রাসার শিক্ষক অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে পরিবার দ্রুত চিকিৎসার জন্যে যশোর মেডিকেল কলেজের নিয়ে যায় এবং গতকাল সোমবার সকালে রাফসানের অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হলে পরিবার বাচ্ছাটিকে বাড়িতে আনে।
বাড়িতে এলে পরিবারের লোকজন রাফসানের কাছে জানতে চাই আসলে সেদিন ওর সাথে কি ঘটেছিল, লোমহর্ষক ঘটনাটি রাফসানের পরিবারের সামনে এলে নানা রবি শিকদারের পাষন্ড শিক্ষক মিলনের কাছে গতকাল ৪ঠা এপ্রিল সোমবার সকাল আনুমানিক ১১টায় চিত্র মডেল কলেজে গেলে সে আসার কথা শুনে পালিয়ে যায়, কিন্তু যশোর মাগুরা হাইওয়ের তেতুলতলা নামক স্থানে রবি শিকদার ও পরিবারের অন্যান্য সদশ্যরা শিক্ষক মিলনকে আটকে জানতে চাই কেন সে তার শিশু নাতি রাফসানকে এভাবে মেরেছে, সেখানে উত্তর না দিয়ে উল্টো রবি শিকদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার সময় পাষন্ড শিক্ষক নিজস্ব মোটর-সাইকেল থেকে পড়ে যায় এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্থান ত্যাগ করে, এদিকে গতকাল বিকালে বাঘারপাড়া থানায় ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করে।
এদিকে গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার পর রবি শিকদার ও তার ভাইপো শাকিল (১৮) কে মিথ্যা তথ্য ও বানোয়াটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে।
এ নিয়ে বাঘারপাড়ার প্রেমচারা ও শালিখা উপজেলার পিয়ারপুর এলাকায় জন সাধারণের মধ্যে সমলোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম জানতে চাইলে শালিখার তালখড়ি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর বাবর আলী বাবু বলেন, তথ্যটি আমার কাছে আসলে আমি অবাক হয়ে যায়, রাফসানের উপর নির্যাতন কথা শুনে এবং রাতে আমার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা রবি শিকদার ও ভাইপো শাকিল কে গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্হিতি ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে, আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায়।
এদিকে পাষন্ড শিক্ষক মিলন এমন ঘটনা এর আগেও ঘটিয়েছে, শনিবার নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে শিশু রাফসানকে কিন্তু উল্টো ক্ষমাতার অপব্যাবহার ও ভূয়া তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে ডাল করে এমন হীন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানান এলাকাবাসী।অবিলম্বে ভূয়া তথ্য দেওয়ায় ও অবৈধ ভাবে রাফসানের উপর নির্যাতনকারী পাষন্ড শিক্ষক মিলনকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: