মুজিব আদর্শ বিকাশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের "বঙ্গবন্ধু কর্নার" প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৬:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৬:৩৫

ছবি সমসাময়িক
শতবছর আগে এই বাংলায় জন্মেছিলেন এক মহামানব। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশকে স্বাধীন করার। শুধু স্বপ্ন দেখেই থেমে যাননি, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সাহসও দেখিয়েছিলেন। তাঁর বজ্রনিনাদে মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছিল। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে গেছিল কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে। সেই মহান নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বাঙালি জাতি। সেই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি ইতিহাসের সেই মহানায়ক, বাঙালির নিরন্তর প্রেরণার নিরন্তর উৎস, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, বঙ্গবন্ধু যেদিন হারিয়ে গিয়েছে সেদিন থেকে বাংলার মাটি থেকে অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছে কিন্তু তার চেতনা আজও বেঁচে আছে আমাদের মাঝে। আমরা জানি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে একদল অদম্য তরুণদের নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে গৌরব, ঐতিহ্য এবং সীমাহীন সফলতা নিয়ে অতিক্রম করেছে পথচলার ৭৪ বছর। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, আদর্শ বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা স্বরুপ। সেজন্য স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলের ইতিহাস বিকৃতি রোধকল্পে, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে ছড়িয়ে দিতে ছাত্রলীগের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর তাই, "বঙ্গবন্ধুকে জানো, তাঁর আদর্শে জাগো, বাংলাদেশকে ভালোবাসো" স্লোগানকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিকাশে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথা প্রতিটি ক্যাম্পাসেই "ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু কর্নার" স্থাপন করা প্রয়োজন বলে মনে করি। যেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন বই সহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্বলিত ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা নানাবিধ বই, ম্যাগাজিন। যার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে জাতির সঠিক ইতিহাস। অনুভব করবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের জন্য করা ত্যাগ, তিতীক্ষা। অনুপ্রাণিত হবে মুজিব আদর্শ ধারণ এবং লালনের। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ, আছে কাজী নজরুলের বাঁধ ভাঙার শৌর্য, আছে ক্ষুদিরামের প্রত্যয়, আছে সুকান্তের অবিচল চেতনা। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে জাতির সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে। প্রত্যাশা স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে জাগ্রত হবে নতুন প্রজন্মের বিবেক ও চেতনা। অনাগত প্রজন্মের মূল লড়াইটাই হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে, দেশগড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। লেখক: মোঃ রিয়াজ উদ্দীন রেজা কর্মী, যশোর জেলা ছাত্রলীগ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: