মণিরামপুর খেদাপাড়ায় বিষ পানে গৃহবধুর মৃত্যু: সন্ধেহের তীর ভাসুর ও বউদের উপর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২ ১৪:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২ ১৪:১৯

ছবি সমসাময়িক
স্টাফ রিপোটার মণিরামপুর।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের খেদাপাড়া গ্রামের মৃত্যু কাসেম গাজীর ছোট ছেলে রাশেদ গাজীর  স্ত্রী দেড় বছরের শিশু কন্যাকে রেখে  রুমি খাতুন (২২) বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবী। তবে প্রতিবেশীদের কাছে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্য জনক। ঘটনাটি গতকাল ১৯ মার্চ আনুমানিক সন্ধা সাতটার  দিকে পারিবারিক কলহের জেরে একপর্যায়ে রাশেদের স্ত্রী রুমি খাতুন  বাড়িতে রাখা বিষ পান করেন বলে পরিবারের অন্য ভাইয়ের স্ত্রীরা দাবী করে।    এবিষয়ে কথা হয় মৃত রুমি খাতুনের বড় ভাসুর হাফিজুর রহমান এর স্ত্রীর সাথে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার দেবর সহজ সরল (বুদ্ধি প্রতিবন্ধী) সে কিছু বোঝে না এমনি তার যা কিছু প্রয়োজন হয় সব কিছু তার স্বামী হাফিজুর রহমান ও অন্য ভাই মুজিবুর রহমান দিয়ে থাকে। এছাড়াও পরিবারের সবাই একসাথে রান্না খাওয়া এমন কি পরিবারের সকল বিষয় একসঙ্গে হয়ে থাকে। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে কিছু করে না।   এবিষয়ে মৃত রুমি খাতুনের স্বামী রাশেদ গাজীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে বাজার যাওয়ার সময় তাকে মেয়ের জন্য আঙ্গুর আনতে বলে এবং দুপুরে আঙ্গুর না নিয়ে বাড়িতে চলে আসে রাশেদ গাজী। এরপর বিকালে বাজারে যাওয়ার সময় আবারও আঙ্গুর আনতে বললে একটু রাগ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধায় খবর পাই সে বিষ খেয়েছে। এরপর বাড়ীতে এসে দেখি সত্যি সে বিষ খেয়েছে।প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য খেদাপাড়া থেকে চিকিৎসক আ: রশিদ কে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক আ: রশিদ অবস্থা খারাপ দেখে সরকারি হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রতিমধ্য মৃত্যু হয় রুমি খাতুনের।   এবিষয়ে পল্লী চিকিৎসক আ: রশিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, তাকে আনুমানিক রাত দশটার দিকে তাদের বাসায় যেতে বলে রাশেদ গাজীর স্ত্রী বিষ খেয়েছে এ কথা বলে। আমি তাদের বাসায় গিয়ে রুগীর অবস্থা খুবই খারাপ দেখে সরকারি হসপিটালে নিয়ে যেতে বলি। তবে আমি যখন রুগি দেখি তখন তার নিথর দেহ পড়ে ছিল। রুগি যদি সময় মতো চিকিৎসা করানো যেত তাহলে হয়তো সৃষ্টিকর্তা তাকে সুস্থ করতেন।   উল্লেখ্য মৃত রুমি খাতুনের পরিবার ও স্থানীয় প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা যায় রুমি খাতুনের স্বামী রাশেদ গাজী সহজ সরল বুদ্ধিহীন সেই সুযোগে তার বড় ভাই হাফিজুর রহমানের কু-দৃষ্টি পড়ে। যেকারণে প্রতিনিয়ত ছোট ভাই বৌ রুমিকে কু-পস্তাব দিতো হাফিজুর রহমান। এরমাঝে একবার হাফিজুরের কু -কর্মের জন্য আলোচনায় আসলে তিনি প্রবাসে পাড়ি দেন। এঘটানায় রুমির বাবার বাড়ীর পরিবার এসে রুমিকে নিয়ে চলে যায়। কিছু দিন পর এধরনের ঘটনা আর ঘটবে না শর্তে আবারও স্বামীর পরিবারের লোকজন রুমি কে নিয়ে আসে। কিন্তু শুরু হয় আবারও আরেক ভাসুর মুজিবুর রহমান ও বড় ভাই বৌয়ের অত্যাচার। একদিকে ভাসুর মুজিবরের কু -পস্তাব অন্য দিকে ভাসুরের বৌদের অত্যাচার। একপর্যায়ে গত ১৯ মার্চ সন্ধায় বিষ পানে নাকি জোর পূর্বক বিষ খাওয়ায়ে মারা হয়েছে এ নিয়ে রুমির পরিবার সন্ধেহের তীর এখন রুমির শ্বশুর বাড়ির লোকদের উপর। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত্য রুমির লাশ ময়নাতদন্তের পর বাবার বাড়ী কলারোয়া দেয়াড়া গ্রামে দাফন সম্পন্ন হচ্ছিল। এবং এ বিষয়ে মৃত্য রুমির স্বজনরা মণিরামপুর থানায় মামলার প্রক্রিয়া নিচ্ছেন বলে জানান।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: