গাজীপুরের টঙ্গীতে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা, আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২২ ১৭:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২২ ১৭:১০

ছবি সমসাময়িক
মাহবুবুর রহমান জিলানী গাজীপুর।।  গাজীপুরের টঙ্গীতে সাত ঘন্টার ব্যবধানে গার্মেন্টস কর্মী হত্যার এজাহার নামীয় আসামী ফজলুর রহমান ওরফে ফরহাদ(২৭)কে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলমের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সাব্বির হোসেন অভিযান চালিয়ে শেরপুর জেলাধীন নালিতাবাড়ী থানার কালিনগর তার নিজ বাড়ীর এলাকা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর গাজীপুরা বাসস্টান্ড আলী আকবর মিয়ার বাড়িতে ছমিরুন নেছা(২৫)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় নিহতের স্বামী ফজলুর রহমান ফরহাদ। এঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, বিগত ৫ বছর পূর্বে একই এলাকার শেরপুরের নালিতাবাড়ী ফজলুর রহমান ফরহাদ(২৭) এর সাথে সুখের সংসার গড়ার রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ভাড়া বাসাতে সংসার সাজান। সাংসারিক জীবনে উভয়েই স্যাটার্ন নামক গার্মেন্টস চাকরি নেয় এবং তাদের সংসারে ফারজানা নামে জন্মগ্রহণ করে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান যার বয়স ৪ বছর। হঠাৎ ছামিরন জানতে পারেন তার নিরাপদ আশ্রয় তার স্বামী পূর্বে বিবাহিত ছিলো এবং বর্তমানে সে তার ডিভোর্স দেয়া পূর্বের স্ত্রীর নিকট যাতায়াত সহকারে নানান পরনারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে ।এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি এবং সাংসারিক অশান্তি। এমন অবস্থায় ১৬/৩/২২ ইং তারিখে স্বামী ফরহাদ শিশু কন্যা ফারজানাকে গাজীপুর চৌরাস্তা তার দাদীর কাছে রেখে তার বাসায় এসে স্ত্রীকে সেই রাতের সুবিধাজনক সময়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লাশ ঘরে রেখে ঠান্ডা মাথায় বাহির দিয়ে ঘর আটকিয়ে পলায়ন করে। এই সংক্রান্তে ছমিরন নেছার মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা নাম্বার ১৮(০৩)২২ ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়। অতপর: গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব খন্দকার লুৎফুল কবির বিপিএম,পিপিএম স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব ইলতুৎ মিশ স্যারের তত্ত্বাবধানে ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ হাসিবুল আলম স্যারের নির্দেশনায় এবং পরামর্শে হত্যা ঘটনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্বামী ফরহাদকে ০৭ ঘন্টার মধ্যে শেরপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করি। এবং শনিবার গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্ররণ করলে আদালত তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহন করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: