খুলনার পাইকগাছায় যৌতুকলোভী জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় শশুরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৫৫

ছবি সমসাময়িক
মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বেতবুনিয়া গ্রামের, মোঃ আসাদুল খাঁর মেয়ে সুমাইয়ার সাথে পার বয়ারঝাপা গ্রামের নুরজামাল গাজীর ছেলে রসুল গাজীর সাথে পারিবারিক ভাবে ৩ বছর আগে বিবাহ হয়। আসাদুল খাঁর অভিযোগ আমার মেয়ে দুই বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ঘর সংসার করে আসছে এরপর রসুল তার মায়ের কুপরামর্শে সুমাইয়া কে বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকা জন্য চাপ দেয়। একপর্যায়ে সুমাইয়াকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। সুমাইয়া নির্যাতন সইতে না পেরে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তার স্বামীর হাতে দেয়, আবারো কিছুদিন পর রসুল ও তার মা মিলে সুমাইয়াকে বলে তোর বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা এনে দে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক করতে হবে। তখন সুমাইয়া বলে আমি আর আমার বাবার কাছ থেকে কোন টাকা এনে দিতে পারবো না, তুমি কামাই করে কাগজপত্র ঠিক করো। টাকা আনতে অস্বীকার করায় রসুল ও তার মা মিলে সুমাইয়া মারপিট করে। এবিষয়ে সুমাইয়ার কাছে জানতে চাইলে সুমাইয়া বলেন, আমার স্বামী রসুল ও তার মা মিলে আমার পিতার কাছে ফোন করে আমার পিতাকে আসতে বলে আমার পিতা কাজে ব্যস্ত থাকায় আমার মাকে পাঠিয়ে দেয়,আমার মা আমার স্বামীর বাড়িতে আসে এসে আমার স্বামী ও শাশুড়ির কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাওয়া মাত্রই আমার মায়ের সামনে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে আমাকে মারতে থাকে ও আমার কোলের বাচ্চা আমার আমার কাছ থেকে নিয়ে দূরে ফেলে দেয়।এরপর আমার অসুস্থ মা ‌‌ঠেকাতে গেলে আমার মা কে বলেন তোর মেয়ে আর তোকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেবো বলে রসুল ও আমার শাশুড়ি মিলে আমার মাকে মারপিট করে বলে তোর স্বামী আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা মোকদ্দমা করে তাহলে ওকে রাস্তায় একা পেলে জানে মেরে দেবো।পার্শ্ববর্তী লোকজন চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমার স্বামী ও শাশুড়ি হাত থেকে আমার মা কে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।এ বিষয়ে আসাদুল খাঁ আরও বলেন আমি গত ইং-০৬/০২/২২ ইং তারিখে পাইকগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি, অভিযোগের কথা জানতে পেরে আমার মেয়ে ও ১১ মাসের শিশু নাতিকে গত রোববার ঘরের ভিতর আটকে রাখে।পরবর্তীতে আটকে রাখার বিষয়ে আমি জানতে পেরে পাইকগাছা থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমার মেয়ে ও নাতিকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করি, তিনি আরো বলেন আমার মেয়ের প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকারি জামাই ও তার পরিবারকে আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: