
মোঃ শাহ্ জালাল।। “প্রভু তোমার শেষ বিচারের আশায় আমি বসে আছি। চূড়ান্ত দন্ডে দন্ডিত হওয়ার আগে প্রভু, আমার কিছু বলার আছে। প্রভু আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। হেরোইন, প্যাথিডিন, মরফিন এদেরকে আমি কখন চোখে দেখিনি । এদের সহযোগি মদ, গাজা, ফেনসিডিল এমনকি ধূমপান এদের সাথেও আমার কখনো সখ্যতা ছিলনা। প্রভু তার পরেও ক্যান্সার। এ ধরণীতে তোমার সবথেকে যোগ্য প্রতনিধি সেই ডাক্তারাও স্পষ্ট করে কোন সাহস দিতে পারছে না যে কেমোথেরাপি যথেষ্ট। তারা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টে নিয়ে যেতে চাই। প্রভু প্রাপ্যর তুলনায় প্রাপ্তি একটূ বেশি হলো কি? তারপরও প্রভু তুমি সঠিক, তোমার কোন ভ্রান্তি নেই। শেষ বিচারের তুমিই কর্তা। আমার আছে শুধু প্রার্থনা।”
“ঋণের শেষ, অগ্নির শেষ, শত্রুর শেষ,ব্যাধির শেষ থাকলে ভবিষ্যতে মহাবিপদ। পুনরায় বর্ধিত হলে আর শেষ করা যায় না। অথচ সেই বর্ধিত ক্যান্সারের সাথেই আমার যুদ্ধ। জানিনা এই যুদ্ধে কে আত্মসমর্পণ করবে। আত্মসমর্পণ না করার জন্য সাহস দিচ্ছেন ভারতের অ্যাপেলো হাসপাতালের প্রখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড. টি.রাজা শেষ অস্ত্র হিসাবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনে কে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সময় দিয়েছেন মাত্র তিন মাস। মার নইলে মর। জীবন যুদ্ধে ক্যান্সারকে মারার জন্য চাই সকলের সহযোগিতা। একটু সহানুভূতি, সহমর্মিতা, আপনাদের ভালোবাসায় আমাকে পৌছে দিতে পারে আগামী দিনের কাছে।”
ভারতের চেন্নাইয় শহরের বিখ্যাত ক্যান্সার হসপিটাল অ্যাপেলোতে চিকিৎসারত অবস্থান কালে মরন ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মণিরামপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক উত্তম কুমার চন্দ্র তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের আবেগময় স্ট্যাটাস দিয়ে সমাজের মানবিক,বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। সুন্দর এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে আমরা কেউ পরপারে পাড়ি জমাতে চাইনা। সবাই চাই আরো কিছু দিন এই সুন্দর ভুবনে থাকতে। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে প্রভাষক উত্তম কুমারের ব্যক্তিগত মোবাইল নং ০১৭১২-০২৩১৫৪ যোগাযোগ করার বিশেষ অনুরোধ রইল।
বি:দ্র: দয়া করে সহযোগিতা করতে না পারলেও সবাই পোস্টটা শেয়ার করে দিবেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: