
মোঃ সবুজ হোসেন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়া কুমারখালী নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে গত শনিবার রাতে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ ৯৯৯ সংবাদ পেলে আহতদের উদ্ধার করে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতদের ভাই, জিয়ারুল ইসলাম জানান, আমার ভাই পিয়ারুল ইসলামের বউ আনতে গেলে। আমার ভাইয়ের চাচা শশুরের বাড়ীতে। মোঃ বাবু (৫০) পিতা-মৃত ময়না শেখ, মোঃ শামীম (৩০)পিতা-মৃত আকাম উদ্দিন শেখ, মোঃ শুভ (২০) পিতা- রোস্তম, মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মৃত সিরাজ, মোঃ নাহিদ (২৫) পিতা- বাবু শেখ, সর্ব সাং-সোন্দাহ, ইউনিয়ন নন্দলালপুর । ছোট ভাইয়ের বউ মোছাঃ সুমি খাতুন (২৩) কে আনার উদ্দেশ্যে আমাদের পরিবারের লোকজন সবাই ভাইয়ের চাচা শশুর মনিরুলের বাড়িতে যায় । ২৯ শে জানুয়ারি রাত ১১ দিকে, এই সময় মনিরুলের বসতবাড়ির কক্ষে বসে মীমাংসার কথাবার্তা চলছিলো। তখন কথাবার্তা কাটাকাটি একপর্যায়ে মনিরুল ইসলামের হুকুমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আমাদের উপর। এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা লোহার রড বাঁশের লাঠি কাঠের বাটাম ইত্যাদি দিয়ে আমাদের উপরে হামলা করে। মোঃ শামীম এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ভাই পিয়ারুল ইসলাম কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। উক্ত আঘাত ঠোঁটের উপর লাগে এবং গুরুতর জখম হয়। অন্যান্য লোকজনের হাতে থাকা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে আমার পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন কে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে । আমার ও দুলাভাইকে শরীরে আঘাত করে।
এই সময় আরো অনেকেই আমাদের উপর বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে তখন আমি ' ৯৯৯' নাম্বারে ফোন করে কুমারখালী পুলিশের সাহায্য নিয়। এবং পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে কুমারখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে কুমারখালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল টি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: