
মনিরামপুর(যশোর)॥ হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে রোববার দ্বিতীয় দফা জানাজা নামাজ শেষে যশোরের মনিরামপুরে আটঘরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতা কবরের পাশে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা মোহাম্মদ মুছার দাফন সম্পন্ন হয়। পূর্বনির্ধারিত সময় বেলা ১১ টায় নেঙ্গুড়াহাট ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় দফায় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার বিশাল আয়তনের মাঠ লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। কেউ বলছে ১৬ হাজার আবার কেউ বলছে অন্তত: ২০ হাজার মানুষ প্রিয় নেতা মোহাম্মদ মুছার এ জানাজা নামাজে অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন নেঙ্গুড়াহাট ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুর রউফ। মোহাম্মদ মুছা আটঘরা গ্রামের মৃত সুরোত আলী সরদারের আট সন্তানের(সাত ভাই ও এক বোন) মধ্যে সবার বড়।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান, নেঙ্গুড়াহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর অলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন জানাজা পূর্ব আলোচনাসভায় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, অ্যাডভোকেট এমএ গফুর, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম হায়দার ডাব্লু, মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মজনুর রহমান, বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন, ব্যারিষ্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাঁজ, ঢাকাস্থ মনিরামপুর সমিতির সম্পাদক ড.মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মুছার বড় ছেলে কামরুজ্জামান শাহিন ও ছোট ছেলে মঈনুল ইসলাম মঈন প্রমুখ। এ সময় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল বারী রবু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, ইফতেখার সেলিম অগ্নি, অ্যাডভোকেট হাজী আনিচুর রহমান মুকুল, মনিরামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মকবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, শামছুজ্জামান, আসাদুজ্জামান রয়েল, মাহবুবুর রহমান (নাজিম) শান্ত, আবু বক্কর সিদ্দিকী, খান শফিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, শামছুর রহমান রনি, মোতালেব হোসেন প্রমুখ। পরে আটঘরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার পাশে মোহাম্মদ মুছার দাফন সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুছা অসুস্থ্য হয়ে গত বুধবার যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম , নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত শোক প্রকাশ করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: