যেদিকে তাকাই শুধুই পানি। জেগে আছে একমাত্র বড় রাস্তা। বাড়ির বারান্দা থেকে রাস্তার সঙ্গে সংযোগে ভরসা বাঁশের সাঁকো। উঠানে শ্যাওলা ভাসা কোমরপানি। তলিয়ে গেছে রান্নাঘর, শোবারঘর, গোয়ালঘর। সাপ আর পোকামাকড়ের সঙ্গে দোচালা পাকা টিনের এই বাড়িতেই ১০ সদস্যের পরিবার নিয়ে গত দু’মাস ধরে এমন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন যশোরের মনিরামপুর
কেশবপুর অভয়নগর উপজেলার মানুষ। হাজার হাট গ্রামের ঘের ব্যাবসায়ী সমির তিনি বললেন, এ অঞ্চলে মানুষ, গবাদি পশুপাখি কেউই ভালো নেই। দুই মাসের বেশি সময় ধরে পানির নিচে। রান্না-খাওয়ার মতো জায়গা নেই অনেক গ্রামে। পানিসম্পদ উপদেষ্টার আশ্বাস ও সচিবের পরিদর্শনের পর অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা খাল সংস্কার শুরু হলে গেল কয়েক দিনে নতুন করে পানি বাড়েনি। তবে দীর্ঘদিন জলমগ্ন এ অঞ্চলে বাড়ছে চর্মরোগের প্রকোপ। একরাশ ক্ষোভ নিয়ে তাঁর আক্ষেপ, তাদের এই দুঃখ কি কোনোদিন শেষ হবে না?
সমির এর মতো যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহপাড়ের ৪ লক্ষাধিক মানুষের এমন দুর্দশা। যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী নাব্য হারিয়েছে। ফলে নদী দিয়ে পানি নামছে না। এ অঞ্চলে যত দূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। ক্ষেতের ফসল, ঘেরের মাছ সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি। কেড়ে নিয়েছে মানুষের থাকার জায়গাটুকুও। ৪০০ গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি এবং মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। পানির কাছে হেরে যাচ্ছে ভবদহ অঞ্চলের ৪ লাখ মানুষ। তাদের অনেকের ঠাঁই হয়েছে মহাসড়কের ধারে, স্কুল বা আশ্রয়কেন্দ্রে, কেউ এলাকা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভিন্ন এলাকায়।
অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, চার দশকে ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়নি। তবে পানি সংগ্রাম কমিটির নেতাদের দাবি, চার দশকে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। যার সিংহভাগ লুটপাট হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের কোনো উপকার হয়নি। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশন, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু ও আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সাপ-ব্যাঙ আর পোকামাড়কের সঙ্গে বসবাস অভয়নগরের সুন্দলী গ্রামের অনুপ রায় তাঁর স্ত্রী, চার বছরের সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে বাড়ির সামনে উঁচু সড়কে বসে ছিলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই অনুপের বাবা প্রবল রায় বলে উঠলেন, ‘বছরের পর বছর সাংবাদিকরা ছবি উঠায়েছে; কোনো লাভ হয়নি আমাদের। ভালো করে লিখেন তো; যাতে আমাদের দুঃখডা ঠিক হয়।’ পাশেই অনুপ রায় বলেন, ‘এই দ্যাখেন, জলে ভিজে হাত-পায়ের কী অবস্থা! পচন ধরেছে। ঘরবাড়ি ভাইঙে পড়তেছে। অনেক কষ্টে রান্না করে খাচ্ছি আমরা। আমাগের কিছু চাইনে, আমাগের এই জলডাই শুকোয় দেন।’
একই এলাকার অসীম পাঁড়ে বলেন, ‘দুই ছেলেমেয়ে; তারা আজ দুই মাস তাদের মামার বাড়িতে। তাদের পড়াশোনা বন্ধ। আমরা স্বামী-স্ত্রী এই জলের ভেতরে সাপ-ব্যাঙের মধ্যে বসবাস করছি। ঘরের মেঝেতে হাঁটুপানি। মাচা করে ঘুমাচ্ছি। সকালে উঠে দেখি মশারির ওপর সাপ পড়ে আছে। আতঙ্ক নিয়ে দিনের পর দিন পার করছি আমরা।’
ভবদহ অঞ্চলের মানুষের এই শোচনীয় অবস্থার জন্য যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ী করেছেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদ গাজী। তাঁর অভিযোগ, টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট-টিআরএম প্রকল্প বাদ দিয়ে ২০২২ সাল থেকে স্বপন ভট্টাচার্য্যের মদদে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেছিল, সেটাই এখন ভোগান্তির কারণ।
মনিরামপুরের মশিয়াহাটী গ্রামের শেখর বিশ্বাস বলেন, স্থানীয়দের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভবদহ সেচ পাম্প প্রকল্প গ্রহণ করে। ফলে এই প্রকল্প কোনো কাজে আসেনি।
ভবদহ এলাকায় নেই বিয়ে-পূজার উৎসব
পুরো ভবদহ এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত। তাই এ এলাকায় আবহমানকাল থেকে জমকালো আয়োজনের উদযাপন হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু এবার বাড়ি বাড়ি জলমগ্ন থাকাতে অনেক স্থানেই পূজা হয়নি। কয়েক জায়গায় বালি-মাটি বাঁশ দিয়ে উঁচু করে মণ্ডপ তৈরি করে কয়েকটি স্থানে সীমিত পরিসরে হয়েছে দুর্গাপূজা। শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বন্ধ রয়েছে এলাকায় বিয়ে ও পারিবারিক কোনো সামাজিক আয়োজন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন বলেন, ভবদহ এলাকাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন। সেভাবে এবার পূজা হয়নি।
বৃষ্টি বাড়িয়েছে ভোগান্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের রেকর্ড পরিমাণ অতিবৃষ্টি ভবদহ অঞ্চলে জলাবন্ধতা ও ভোগান্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া সাগর থেকে আসা জোয়ারের পানি প্রতিদিন দুবার নদীগুলো দিয়ে ভবদহ অঞ্চলে প্রবেশ করে। আবার একইভাবে সাগরে ফিরে যায়। বৃষ্টিতে দুর্গত এলাকার হাজারো কৃষকের ২৫ হাজার একর জমির ফসল আর কয়েক হাজার মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি এলাকার অন্তত ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ রয়েছে পাঠদান। মনিরামপুরের ডহর মশিয়াহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার মণ্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের মধ্যে উঁচু বেঞ্চ পর্যন্ত জল উঠে গেছে। বিদ্যালয়ের চারদিকে কোমর পানি। ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারছে না। পাউবোর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী বলেন, জলাবদ্ধ অঞ্চলের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের কাজ চলছে। এ জন্য ৯টি পাম্প চলছে।
যেভাবে বিপদ ডেকে আনা হয়
আগে ভবদহ বিল দিয়ে ২৭ বিলের পানি নদীতে গিয়ে নামত। সমুদ্রের লবণ পানি ঠেকিয়ে চাষাবাদ সহজ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৬১ সালে এ অঞ্চলের পাঁচটি স্থানে ৪৪টি স্লুইসগেট স্থাপন করে। ফলে ২১টি কপাটের মধ্যে ১৮টি পলি জমে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মুক্তেশ্বরী, শ্রীহরি ও টেকা নদী নাব্য হারায়। ষাটের দশকে ভবদহ থেকে বারোহাটি নদী ১৫০ থেকে ২০০ মিটার প্রস্থ ছিল; কিন্তু এখন সেটি মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিটার। একই অবস্থা অন্য নদনদীরও। ফলে ১৯৮১ সালের পর থেকে জলাবদ্ধতা শুরু হয়। প্রতিবছর সামান্য বৃষ্টিতেই নদীর দুই কূল ছাপিয়ে প্লাবিত হয় সমতল।
জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা পরিলক্ষিত হয় ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে। এ সময় ভবদহ অঞ্চলের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের ঘর ছিল মাটি ও খড়ের তৈরি। অপ্রত্যাশিতভাবে ৯০ ভাগ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। সেই থেকে শুরু হয় মানবেতর জীবনযাপন। বেঁচে থাকার নতুন এক যুদ্ধ। কিন্তু কোনো সরকারের আমলেই এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করার স্থায়ী সমাধানের তাগিদ দেখা যায়নি।
পাউবো যত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তার বেশির ভাগ ছিল সাময়িক সমাধানের চেষ্টা। এতে গুরুত্ব দেওয়া হয় খননযন্ত্র দিয়ে নদী খননে। এদিকে পাউবোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৯৭ সালের ২৯ অক্টোবর ভরতভায়না নামক স্থানে ভায়না বিলের বাঁধ কেটে দেয় স্থানীয়রা। এতে জোয়ারের তোড়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের গভীরতার নদী ১৮ মিটার পর্যন্ত গভীর হয়ে যায়। বিলের তলদেশে গড়ে এক মিটারের বেশি পলি পড়ে উঁচু হয়। নদীর মুখে বিল উঁচু হয় আড়াই মিটার এবং শেষের দিকে অর্ধমিটারের কিছু বেশি। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, সব বিল জলাবদ্ধতার শিকার হলেও ভায়নার বিলের কৃষকেরা ফসল ফলাতে পারছেন। যারা ভায়নার বিলের বাঁধ কেটে দিয়েছিলেন, তাদের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। এতে পুলিশি ধরপাকড় শুরু হয়। অনেক কৃষক আত্মগোপনে চলে যান, অনেকে জেল খাটেন। কিন্তু জলাবদ্ধতা দূর করতে সাধারণ মানুষের এ প্রাকৃতিক পন্থাকে পাউবো গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। কৃষকদের উদ্ভাবিত এই পন্থাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘ডাকজোয়ার’। এই প্রথাকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড নাম দেয় টিআরএম বা জোয়ার-আঁধার (জোয়ারাধার)।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই ভবদহের সমাধান
ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র উপায় প্রকৃতিকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া। এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ, আন্দোলনরত সংগ্রাম কমিটির নেতারা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মত হলো, এই অঞ্চলকে পানিমুক্ত করতে দরকার প্রাচীন জোয়ারাধার পদ্ধতি চালু করা। পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মাথাভাঙ্গা-পদ্মার সঙ্গে ভৈরব নদের সংযোগ পুনঃস্থাপিত করে ভৈরব নদ ও মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার করা। এতে এলাকার নদীগুলো স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে পাবে। ভবদহ অঞ্চলের পানি ওঠানামা করে মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরিহর নদী দিয়ে। চলমান জলাবদ্ধতার মূল কারণ বাঁধ ও স্লুইসগেটের জন্য পলি জমে এই নদীগুলোর তলদেশ উঁচু হয়ে পড়া; আর এলাকার বিলগুলো নদীর তুলনায় নিচু হয়ে যাওয়া। তাই টানা বর্ষণ হলে বিল উপচে পুরো ভবদহ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়।
৬ অক্টোবর জলাবদ্ধ ভবদহ অঞ্চলের দুই হাজারের বেশি নারী-পুরুষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি থেকে জলাবদ্ধ এলাকা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন, জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে বিল কপালিয়াসহ বিলে বিলে জোয়ারাধার চালুসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী বলেন, এ আশ্বাসের পর অপেক্ষায় আছি কী হয়, সেটা দেখার জন্যে। গত ৪০ বছরে ভবদহ এলাকা সংস্কারের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ঠিকাদার চক্র লুটপাট করেছে। ফলে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পেও সুফল মেলেনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এবার ভবদহবাসীর দুর্দশা এবার কাটবে তো!
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, জলবদ্ধতার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনপ্রতিনিধিরা দায়ী। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিল কপালিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে টিআরএম চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের দুর্দশা কাটাতে আপাতত এর বিকল্প নেই। একই সঙ্গে আমডাঙা খাল প্রশস্তকরণ, বিল খুকশিয়ার স্লুইসগেটের পলি অপসারণ জরুরি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ১৯৯০ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ভবদহকে ঘিরে নেওয়া ২১টি প্রকল্পে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। অভয়নগর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের শিক্ষক শিবপদ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পের নামে লুটপাটের কারণে এখনও তাদের এই দশা। বিগত সরকারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, এমপি, প্রতিমন্ত্রীর কাছে এ ভবদহ ছিল ডিমপাড়া হাঁস।
উপদেষ্টা যা বললেন আশ্বাসের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সমকালকে বলেন, ভবদহ এলাকা সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সরেজমিন দেখে এসেছেন। গণশুনানির মাধ্যমে মানুষের কথা শুনেছেন। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমডাঙ্গা খাল খনন শুরু হয়েছে। আরও ১১টি স্থানে যন্ত্রের মাধ্যমে পানি অপসারণ করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: