মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুরে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে গত বুধবার শেষ বিকেলে থেকে। এরপর টানা দুই দিন রাতদিন ভারী বর্ষণে পানি জমে উপজেলার বিভিন্ন বিল তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে গেছে শত শত হেক্টর আমনের খেত। ১০ দিন আগে থেকে শুরু হওয়া রোপা আমন খেতে ধানের চারার দেড় ফুট পানির তলে ডুবে গেছে। এসব ধানখেত দেখে মাথায় হাত উঠেছে কৃষকদের।
আজ শনিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার মামুদকাটি, রঘুনাথপুর, খড়িঞ্চি, খেদাপাড়া, রোহিতা শেখপাড়া, বাগডোব, ইত্যা, কাশিমনগর, ঢাকুরিয়া, জয়পুর, শ্যামকুড়, চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে পানি জমে আমন খেত তলিয়ে আছে।
কৃষকেরা বলছেন, এক সপ্তাহ ধরে আমন রোপণের ধুম পড়েছে। উপজেলার তিন-চতুর্থাংশে জমিতে ধান রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। দুই দিনের ভারী বৃষ্টির পানি জমে এখন অনেক খেতের ধান এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে।
কৃষকদের অভিযোগ, বিলের পানি অপসারণের জন্য যেসব খাল বা নালা আছে, সেগুলোর মুখ অনেক জায়গায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ধানখেত পানির নিচে তলিয়ে থাকলেও কৃষি অফিসের কেউ আমাদের দুর্ভোগ দেখতে এলাকায় নামেননি। পানি এখনই সরানো না গেলে তলিয়ে যাওয়া খেতে ধানগাছ পচে যাবে।
হরিদাসকাটি গ্রামের কৃষক প্রনব কুমার বিশ্বাস বলেন, বিলে দুই বিঘা ধান রোপণ করেছি। সেই ধানের ওপরে এখন এক ফুট পানি। একই গ্রামের কৃষক বাদল বিশ্বাস বলেন, কাটা খালি বিলে ৫ বিঘা জমির ধান প্রায় কোমরপানিতে তলিয়ে আছে। পানি সরার কোনো সম্ভাবনা নেই। আরও দু-এক দিন বৃষ্টি চলমান থাকলে ধান বাঁচানো যাবে না।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন বিলে কৃষকদের শত শত হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেলেও তার কোনো হিসেব নেই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, 'অনেক কৃষককে পানি কিনে ধান রোপণ করতে হচ্ছিল। এই বৃষ্টিতে তাঁদের উপকার হয়েছে। আবার কিছু বিলে পানি জমে ধান তলিয়ে গেছে। যতটুকু পানি জমেছে, বৃষ্টি আর দীর্ঘ না হলে তেমন ক্ষতি হবে না কৃষকদের।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: