মনিরামপুরে বন্যা কবলিত প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মনিরামপুর প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩১

মনিরামপুর প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩১

ছবি- দৈনিক সমসাময়িক নিউজ।

মণিরামপুর প্রতিনিধি।। গত দুইমাসের কয়েকদফা ভারী বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে গেছে ভবদহ অঞ্চল। বিশেষ করে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নিন্মাঞ্চলের বিস্তীর্ন ফসলের মাঠ, পুকুর-ডোবা,খাল-বিল, মাছের ঘের,বসতবাড়ি,রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। ভবদহ অধ্যুষিত নিম্নাঞ্চলের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে শ্রেণিকক্ষ ও খেলার মাঠ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের নেহালপুর, কুলটিয়া, মনোহরপুর ও দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় হাটগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএইচএমএস নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজ, কুলটিয়া বালিকা বিদ্যালয়, বাজে কুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মশিয়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৮টি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

বন্যায় প্লাবিত নিন্মাঞ্চলের অধিকাংশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও আশপাশে প্রায় কোমর পর্যন্ত পানি জমে আছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রামীণ সংযোগ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুভোর্গ বেড়েছে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার দরুন বন্যা কবলিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের মাঠে পানি থাকায় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে । এসব পানিতে তলিয়ে যাওয়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যাও কমে গেছে।

বন্যা কবলিত উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্কুল মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে আছে। স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।

উপজেলা লখাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক উৎপল বিশ্বাস জানান, প্রায় দুইমাস ধরে স্কুলের মাঠে পানি জমে রয়েছে। বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভবনের নিচতলায় শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়া শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন বলেন, শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম এমন পাঁচটি বিদ্যালয়ের লিখিত আবেদন পেয়েছি। শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষকদের পাঠদানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: