বিশেষ প্রতিনিধি।।
যশোরের অভয়নগরে মাদক ছাড়ার অঙ্গিকার করে মুচলেকা দেওয়া শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী(২৬) ও তার অপর সহযোগী তাজু মোল্যা (২৫) কে ইয়াবা-সহ গ্রেফতার করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ আলী বুইকরা ড্রাইভারপাড়া এলাকার মৃত নুর ইসলামের পুত্র ও অপর সহযোগী তাজু মোল্যা একই এলাকার মুত আঃ রশীদের পুত্র।

৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১১ টায় আসামী মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৪ মে যশোর জেলা পুলিশ জেলার শীর্ষ ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা করেন।১৪ জনের তালিকায় অভয়নগরের উপজেলার বুইকরা গ্রামের হিরু মোল্লার স্ত্রী লিপি বেগন(৪৫), ড্রাইভার পাড়া এলাকার মৃত নুর ইসলামের পুত্র শহিদুল(৩২) ও গুয়াখোলা এলাকার গনি মিয়ার পুত্র কামরুল(৩৫) এই ৩ জনের নাম প্রকাশ পায়। তবে সেসময় গাঁ-ঢাকা দেয় এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। নিজেদের আঁড়াল রেখে সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের ব্যবসায় উঠতি বয়সী কিশোর, সুন্দরী নারী ও নতুন মুখ ব্যবহার করে দূর থেকে নাড়তে থাকে তাদের কলকাঠি।
১৮ জুন প্রতিপক্ষের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন মাদক তালিকায় থাকা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল। বাকি দু’শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী-সহ বেশকিছু মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা ছেড়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। শহিদুলের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা নিজেরাই যে যার মত নিজেদের ব্যবসা আলাদা করে ড্রাইভার ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাকে মাদকের শহরে পরিণত করে। ফলে ঘরে ঘরে আত্মপ্রকাশ পায় মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনী মাদক বিরোধী অভিয়ান চালালেও ড্রাইভার পাড়ার মাদক নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়।
চলতি বছরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সুযোগ দেওয়া হলে ২ সেপ্টেম্বর ৪.৫.ও ৬ নং ওয়ার্ড বিট পুলিশিং -২ কার্যালয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম শামিম, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গর উপস্থিতে বিট পুলিশিং-২ এর দায়িত্বে থাকা এস আই শাহ আলমের মাধ্যমে ড্রাইভার পাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত নুর ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ(২৬), ওহিদুল (৩৪), মহাসিন মোল্লার পুত্র সাজু (২৮),
মাসুদের স্ত্রী রেকসোনা বেগম(৩৫), মাছ বাজার এলাকার খালেকের পুত্র শান্টু(৩৫), খোকনের পুত্র মাছুম(৩৩), মাদক ব্যবসা ছাড়ার অঙ্গিকারে মুচলেকা দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েক জন বলেন,মুচলেকা দেওয়ার পরও এরা মাদক ব্যবসা ছাড়েনি বরং এদের মধ্যে পুলিশের যে ভয়টা কাজ করত বর্তমানে সেটাও নেই।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
একে এম শামিম বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ৩০ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসা না করার অঙ্গীকারে মুচলেকা দেওয়া মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগী তাজুকে ২০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২৭০০/ টাকা-সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভয়নগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।