মণিরামপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মজিদের বিরুদ্ধে পৌরসভার কর্মচারী বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামকে গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে পৌর কর্মচারীরা রবিবার সমাবেশ করে অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের কাছে জিএম মজিদকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছেন। অন্যথায় জিএম মজিদকে পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মণিরামপুর শাখার উদ্যোগে রবিবার পৌরসভা মিলনায়তনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি শাহিনুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান সমাবেশে অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম মজুমদার, উপ সহকারী প্রকৌশলী সোহান হোসেন, মণিরামপুর পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপু এস এম আব্দুর রাশিদ, পৌর কাউন্সিলর আদম আলী, কুদ্দুস আলী, সুমন দাস, বাবুলাল চৌধুরী, আইয়ুব পাটোয়ারী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর গিতা রানী, অনিমা মিত্র, অপেলা খাতুন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপু এস এম আব্দুর রাশিদ জানান, অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের কাছে জিএম মজিদকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় জিএম মজিদকে পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ করা হবে।
পৌর কমর্চারী মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জিএম মজিদের বোন ফরিদা খাতুন পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পৌরসভায় একটি আবেদন করেন। ফলে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিষয়টি শুনানির জন্য জিএম মজিদকে নোটিশ প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক ৯ নভেম্বর পৌরসভায় প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি শালিসবোর্ড গঠন করা হয়। শুনানিতে জিএম মজিদ ও তার বোন ফরিদা বেগম উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে জিএম মজিদ তার বোনের পক্ষ অবলম্বন করার অভিযোগ আনেন বোর্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নূরুল ইসলামের অভিযোগ, জিএম মজিদ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জিএম মজিদ জানান, সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন।