03/19/2025 সংবাদ সম্মেলনে পটিয়ায় সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকুরী ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে পটিয়ায় সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকুরী ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৫৫
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনায় ব্যস্ত থেকে চাকুরী ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত কর্মকর্তর নাম আবুল হোসেন প্রঃ সাবের। সে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত জানু মিয়ার পুত্র। আবুল হোসেন চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদস্থ হিসাব ভবনের বিভাগীয় কন্ট্রোলার অব একাউন্টস এর অডিটর পদে দায়িত্বে আছে। অন্যের মামলা পরিচালনার ক্ষমতা গ্রহণ করে ২টি মামলায় এক সহোদরসহ দুই ব্যক্তিকে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আর্থিক, মানসিকভাবে হয়রানি করার অভিযোগ এনে পটিয়ার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সমাজ সেবক আবুল আবছার নামে এক সহোদর ১৫ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে পটিয়ার থানার মোড় সংলগ্ন ডায়মন্ড রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আবছার জানাই তারা পাঁচ ভাই যৌথ ভাবে তাদের মাতৃক ভূমিতে পাকা ভবন করার জন্য ২০১৩ সালে দুই ভাই অর্থ বিনিয়োগ করে। কাজ চলমান অবস্থায় টাকার প্রয়োজন হলে অপর দুই ভাই আবুল আবছারকে তাদের ভূমির অংশের হেবা দলিল প্রদান করেন। পথিমধ্যে ভাইদের সাথে পারিবারিক বিরোধ হলে আবুল হাসান নামের এক ভাই আবছারের বিরুদ্ধে জেলা দায়রা জজ আদালতে ২০৩/১৪ একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন। এতে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ম্যানেজারকেও আসামী করা হয়। ২০১৫ সালে তাদের বড় ভাই আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী বাদী হয়ে আবছারকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এ,ডি,এম কোর্টে আরেকটি মিচ মামলা দায়ের করে। ২টি মামলা পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মকর্তা আবুল হোসেন প্রকাশ সাবের আমমোক্তারনামা গ্রহণ করে। এর মধ্যে বিভাগীয় জজ আদালতের ২০৩নং মামলাটির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত গত ১৭ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে ৩৫নং রায়ের আদেশে আবুল আবছার ও ব্যাংক ম্যানেজার এম. মনছুরুল হককে বেকসুর খালাস দেয়। এর মধ্যে দুইটি মামলায় মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে নিষ্পত্তি হয়। ৩৫ কার্যদিবসে চাকুরী ফাঁকি দিয়ে আবুল হোসেন আদালতে নিজে উপস্থিত ছিলেন। যা তিনি সরকারি বিধি ভঙ্গ করেছে।
আবুল আবছার জানান, আবুল হোসেন প্রায় সময় আদালত, থানা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বিভিন্ন তদবীর নিয়ে ব্যস্ত থাকেন যার কারণে সে নিয়মিত চাকুরীতে থাকেনা। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিকট জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী আবুল আবছার।