03/19/2025 চিরিরবন্দরে স্কুল ছাত্রী অপহরনের ৬ ঘন্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার ,অভিযুক্ত আটক
চিরিরবন্দরে স্কুল ছাত্রী অপহরনের ৬ ঘন্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার ,অভিযুক্ত আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর ২০২১ ০৫:৪৫
স্টাফ রিপোর্টার।।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ৮ম শ্রেনীর হিন্দু স্কুল ছাত্রী অপহরনের ৬ ঘন্টা পর চিরিরবন্দর থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ রাকিব (২২) নামের এক ব্যক্তিকে আঁটক করে।
পরবর্তীতে নাবালিকা স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের দাঁয়ে ২৭ অক্টোবর আসামী মোঃ রাকিব পিতা মোঃ আব্দুল মান্নান বর্তমান ঠিকানাঃ গ্রাম বাজিদপুর, ডাকঃ ভিয়াইল, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর এবং মোঃ জুয়েল ইসলাম (৪১) পিতা মৃত মোসাব্বের রহমান গ্রাম তালপুকুর (মাঝাপাড়া) ডাকঃ ভিয়াইল, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর ও আরও ২/৩ জন অঞ্জাতনামা আসামী করে থানায় একটি এজাহার দাঁয়ের করেন নাবালিকার বাবা রমানাথ চন্দ্র রায়। যাহার এজাহার নম্বর ১৭।
৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নাবালিকার অভিভাবকের থানায় দাঁয়েরকৃত এজাহার ও সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার ৯নং ভিয়াইল ইউনিয়নের বাজিদপুর (চৌধুরী পাড়া) এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ রাকিব (২২) ৭ নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের ভাদেরা গ্রামের ৮ম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে (১৪) কে প্রায়ই সময় স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাত এবং উত্তক্ত করে আসত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে মেয়েটি নিজ প্রয়োজনে স্থানীয় সাহার বাজার যাবার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে পতিমধ্যে মেয়েটির পথ রোধ করে নানা কৌশল অবলম্বন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। নাবালিকা মেয়েটি বাড়ী থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়েটি বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার বাবা মা অনেক খোজা খুজির পর জানতে পারে চিরিরবন্দর ৯নং ভিয়াইল ইউনিয়ের বাজিদপুর (চৌধুরী পাড়া) এলাকার আব্দুল মান্নান এর ছেলে (টলির হেলপার) মোঃ রাকিব অসৎ উদ্দেশ্যে তার মেয়েকে, মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অনত্র নিয়ে গেছে। এ কথা জানার পর মেয়ের বাবা দিশেহারা হয়ে পরে এবং অসহায়ত্ব বোধ করে শরনাপন্ন হন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার। বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি যাদব চন্দ্র রায়সহ তার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা মিলে মেয়েটির বাবাকে নিয়ে চিরিরবন্দর থানায় উপরোক্ত আসামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাঁয়ের করেন। অভিযোগ দাঁয়েরের সাথে সাথেই চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার তার অধিনস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মেয়েটিকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেন।
ওসির নির্দেশক্রমে চিরিরবন্দর থানার এস আই শাহ্ আলম, এ এস আই আশরাফুলসহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। সেখানে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে নানা কৌশল অবলম্বন করে আসামীর অবস্থান নিশ্চত করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং আসামী মোঃ রাকিবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নাবালিকা একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরনের দায়ে আসামী মোঃ রাকিবকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় এবং নাবালিকা মেয়েটিকে আদালতের নির্দেশে তার বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।নাবালিকা স্কুল পড়ুয়া মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি যাদব চন্দ্র রায়সহ তার সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।