03/19/2025 কুয়াদায় অসহায় দুই নারীকে হয়রানির অভিযােগ
কুয়াদায় অসহায় দুই নারীকে হয়রানির অভিযােগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ অক্টোবর ২০২১ ১৪:১৫
মোঃ ওয়াজেদ আলী, কুয়াদা (যশোর) প্রতিনিধি: যশােরের কুয়াদায় দুই অসহায় নারীকে মহুয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী খাদিজা খানম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযােগ উঠেছে। সূত্র জানায়, যশাের সদর উপজেলায় রামনগর ইউনিয়নের কুয়াদা বাজার সংলগ্ন ডহর সিঙ্গা গ্রামের মৃত ফকু মিস্ত্রীর স্ত্রী মুসলিমা ও একই এলাকার কামালপুর গ্রামের জামির গাজীর স্ত্রী রহিমা প্রায় আট বছর যাবৎ সুনামের সহিত মহুয়া ফ্যাশনের সাথে ওয়ান পিস কামিজ হাতে সেলাই করা ব্যবসা করে আসছিলেন। তারই জের ধরে যশাের বকচর আইটিপার্ক আবাসিক এলাকার মহুয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী খাদিজা খানমের সাথে তাদের পরিচয় হয়। সেই সূত্রধরে গত ২০১৯ ও ২০২০ সালে প্রায় দেড় বছর যাবৎ ওয়ান পিস কামিজ সেলাইয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু এই অসহায় দুই নারী রহিমা ও মুসলিমা মহুয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী খাদিজা খানমের প্রতারনার বিষয় বুঝতে পারে। সেই সময় তারা আর তার সাথে ওয়ান পিস কামিজ সেলাইয়ের ব্যবসা আর করবেন না বলে জানিয়ে দেয় এবং তাদের সকল পাওনাদি বুঝে দিতে বলেন। তখনই শুরু হয় আলােচিত মহুয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী খাদিজা খানমের বিভিন্ন প্রকার ছলচাতুরী। এ নিয়ে ভূক্তভােগী রহিমা জানান, আমার কাছে মহুয়া ফ্যাশন মাত্র ২'শ ওয়ান পিস কামিজ পাবে কিন্তু আমি তার কাছে সেলাইকৃত জমা দেয়া কামিজ বাবদ ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩'শ ৩০ টাকা পাবাে। অপর ভূক্তভােগী মুসলিমা জানান, মহুয়া ফ্যাশন আমার কাছে মাত্র ৩৯ ওয়ান পিস কামিজ পাবে কিন্তু আমি তার কাছে সেলাইকৃত জমা দেয়া কামিজ বাবদ ৪৪ হাজার টাকা পাবাে। এদিকে ভূক্তভােগী দুই নারীর প্রাপ্ত টাকা বুঝে না দিয়ে উল্টে মহুয়া ফ্যাশন তাদের কাছে গত ৪ অক্টোবর- ২০২১ অ্যাডভােকেটের মাধ্যমে লিগ্যাল নােটিশ পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রহিমার কাছে ৭'শ ২৬ ওয়ান পিস কামিজ বাবদ ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬'শ টাকা এবং মুসলিমার কাছে ৪শ ৫২ ওয়ান পিস কামিজ বাবদ ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২'শ টাকা পাবেন । উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে এ ঘটনায় ভূক্তভােগীরা নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্মরনাপন্ন হয়। তখন তারা উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে একটি শালিশী বৈঠক করেন। তখন মহুয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী খাদিজা খানম পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বসার আশ্বাস দিয়ে সুকৌশলে শালিসী বৈঠক থেকে স্থান ত্যাগ করেন। তারপর অনেকবার তার সাথে ফোনের মাধ্যমে যােগাযােগ করলে তিনি আর আসেননি। হঠাৎ ১ বছর পর মহুয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী এ দুই নারীর কাছে অ্যাডভােকেটের মাধ্যমে লিগ্যাল নােটিশ পাঠান। এমতাবস্থায় ভূক্তভােগী অসহায় দুই নারী তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে মহুয়া ফ্যাশনের এমন অমানবিক হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।