মোঃ ওয়াজেদ আলী, কুয়াদা (যশোর): প্রতিনিধি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ঢাকুরিয়া-প্রতাপকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রেড ভীম আঁকা-বাকা করা হয়েছে। যা দেখার কেউ নেই। এ নিয়ে এলাকাবাসিসহ সচেতনমহল চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার বিকালে স্বরজমিনে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত ভবনের গ্রেড ভীমের আঁকা-বাকার এ দৃশ্য দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মনিরামপুর উপজেলার ৪নং ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ঢাকুরিয়া প্রতাপকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৯ সালে স্থাপিত হয়। পরে ভবন নির্মাণ করা হয় ১৯৯৪ সালে। এই বিদ্যালয়ে এলাকার প্রায় ৭/৮ গ্রামের ছেলে-মেয়েরা লেখা পড়া করে আসছে। এবং এলাকায় বিদ্যালয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে ও স্থানীয়রা জানিয়েছন। এলাকাবাসি জানায়, সাম্প্রতিক এই বিদ্যালয়ের আরও একটি নব-নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যা আশ-পাশের গ্রামবাসির জন্য খুবই উপকার হবে। কারণ তাদের ছেলে-মেয়েরা ওই বিদ্যালয়ে আরও ভালভাবে লেখা-পড়া করতে পারবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এই নব-নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রেড ভীম আকাঁবাকা ও কোন-কোন পাশে ঢেবে গেছে। এটা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভবনের শুরুতেই এমন আকাঁ-বাকা ও কোথাও যদি ঢেবে যায়,তাহলে এই ভবনটি কতটুকু মানসম্মত হবে বলে এমনটাই প্রশ্ন জনমনে। এলাকাবাসিদের দাবি,দ্রুত এই নব-নির্মিত ভবনের সঠিকভাবে তদারকি করা খুবই প্রয়োজন বলে তারা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকুরিয়া প্রতাপকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃজব্বার জানান,আমি ভবনটি দেখাশুনা করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদারকিটিম বানিয়ে দিয়েছি বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তদারকি কমিটির তারা হলেন,বিদ্যালয়ের সহ-কারি প্রধান শিক্ষক রমজান আলী, সহ-কারি শিক্ষক প্রদীপ পাইন ও মাওঃ রফিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহ-কারি প্রধান শিক্ষক ও তদারকি কমিটির সভাপতি রমজান আলী বলেন, আমরা তিন জন পর্যায়ক্রমে ওই কাজের দেখাশুনা করি। যখন ওই ভবনের বিভিন্ন গ্রেডভীম আঁকা-বাকা দেখা গেছে তখন সহ-কারি শিক্ষক প্রদীপ পাইন ওখানে ছিল। তিনি আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে আমি এসে কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফোরম্যান রাশেদ হোসেন বলি গ্রেডভীম এমন আঁকাবাকা ও কোন কোন জায়গায় ডেবে গেছে কারন কি, তখন সে বলল ও কিছু হবে না কারণ,কয়েকদিন পরেতো মাটির নিচে থাকবে দেখা যাবে না। তবে তিনি নিজেই স্বীকার করে বলেন, এটা দেখতে অবশ্যই দৃষ্টিকটু। এ নিয়ে মোবাইল ফোনে ঠিকাদার পলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ও এমন অভিযোগ শুনেছি,উপ-সহকারি প্রকৌশলী মারুফ সাহেব ওখানে যাওয়ার কথা, তবে মনে হয় আজ উনি যাই নি,তবে কাল ওখানে যাবে। যশোরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মারুফ হোসেন জানান,আমাকে সভাপতি ফোন দিয়েছে,কিন্তু আমাদের অফিসে মিটিংয়ের কারনে আজ যেতে পারিনি, তবে আগামিকাল মঙ্গলবার ওখানে যাবো। তিনি আরও বলেন,আমি শুনেছি গ্রেডভীম একটু আকাঁবাকা হয়েছে, তবে আমি না দেখে আপনাকে কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে ঢাকুরিয়া প্রতাপকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি বাবলু সিংহ এর কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোমার বাড়ি কোথায়? আমি এখন একটা শালিসের মধ্যে আছি বলে তিনি ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।