11/09/2025 দল পাগল আ.লীগের সেই নিঃস্ব নেতা মাহবুবের পাশে- এসএম ইয়াকুব আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ আগস্ট ২০২১ ০৬:২৪
কে এই মাহবুব?
মোঃ মাহবুবুর রহমানের মণিরামপুর উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের চালকিডাঙ্গা গ্রামের- মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে। ৯০ দশকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে মণিরামপুরের রাজপথে যে কজন ছাত্রনেতার কণ্ঠস্বর শুনা যেত তার মধ্যে তিনি ছিলেন উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়ন চালকিডাঙ্গা গ্রামের বীর যোদ্ধা। নিজ খরচে বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে রাজপথে আসতেন মাহবুব। সে সময়ের দাপুটে এই ছাত্রনেতা পারিবারিকভাবে বিত্তবান ও অবস্থাশালী ব্যক্তিত্ববান ছিলেন। ২০০১ সাল পর আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে বিএনপি, জামাত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সময়ের নেতাদের নির্দেশে মাহবুবুর রহমান শতশত নেতাকর্মী নিজ খরচে এনেছেন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেদিয়ে জামাত অধ্যুষিত চালকিডাঙ্গা বাজারে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করার কারণে নির্বাচিত হন নিজ ভোজগাতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সামান্য এতটুকু তার দলের কাছ থেকে প্রাপ্তি।
২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এবং ধারাবাহিক ভাবে চলমান এই সরকার। তবুও ভাগ্যের বিবর্তনে ধূসর হয়ে গেছে মাহবুবুর রহমান মাহবুব ও তার পরিবার। অথচ আজ যারা তেল মারা ভিনগ্রহ বলতে জামাত, বিএনপি পরিত্যক্ত কর্মী বাহিনী থেকে আসা চোর, ডাকাত লুচ্চা, বদমাশ, দূর্নীতিবাজ বাটপার তারই রাজপথের হাতিয়ার এখনকার আওয়ামী লীগের নেতাদের। লুটেপুটে খাচ্ছে মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন বৈধ- অবৈধ ইনকামের খাত। কিন্তু কোন স্থানেই জায়গায় হয়নি মাহবুবের।
বেশ কয়েক মাস ধরে সোশাল মিডিয়াতে মোঃ মাহবুবুর রহমান মাহবুব কে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার হওয়ার পর কথা হয় তার সাথে। প্রশ্ন করা হয় মাহবুব'কে, আপনাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপক লেখালিখি হয়েছে আপনি কি কিছু জানেন? উত্তরে তিনি বলেন জানি। তাকে জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের তরফ থেকে কেউ খোঁজ নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে জবাবে মাহবুব কান্না জাড়িত কণ্ঠে বলেন কেউ খোঁজ নেয়নি। আজ প্রথম এসএম ইয়াকুব আলী ভাই ও তার ছোট ভাই মেহেদী খোঁজ নিয়েছেন। আমার পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী হিসাবে চাল, ডাল, তেল, সাবান পাঠিয়েছেন। আমি খুবই খুশি হয়েছি আমি তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুক। পাশাপাশি আমাকে নিয়ে যারা লেখালিখি করেছেন তাদের জন্য দোয়া রইল।
তিনি আরো বলেন একসময় আমি প্রায় ৩৫ বিঘা জমির মালিক ছিলাম আজ সামান্য ভিটে মাটিতে ছোট্ট এক রুমের একটা ঘর ছাড়া কিছুই নেই আমার। এই একটা ঘরে আমার স্ত্রী ও কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করা বেকার ছেলেকে নিয়ে আমার মানবতার জীবনযাপন। অথচ দলের কেউ এখন আর আমাকে ডাকে না খোঁজ খবরও নেয় না। রাজনীতির এক উচ্চ বিলাশী মোহ জয় করতে গিয়ে সবই শেষ করেছি আমি । সামান্য ভিটে মাটি ভাঙ্গাচুরা মাথা গোঁজার ঠাই টুকু নিয়ে মণিরামপুর রাজারে নাইটগার্ডের চাকরি করতাম। গত শীতের প্রচন্ড চাপে আমি আর পেরে উঠতে না পেরে চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে আমার গ্রামের ছোট্ট বাজারে ফল বিক্রি করতাম। তবে আজ লকডাইনে সেটাও বন্ধ। কাছে যে সামান্য নগদ অর্থ ছিল তাও শেষ হয়েছে গেছে। ফলে ফলের দোকান'টাও দিতে পারছি না। যদি এসএম ইয়াকুব আলী ভাইয়ের মতো কেউ একটু এগিয়ে আসতো আমার পাশে কিছু টাকা দিয়ে, তাহলে আমি ফলের দোকানটা আবারও চালু করতে পারতাম। এবং আমার পরিবারটা বেঁচে যেত।