সিগারেটের স্বাধীনতাটুকু চাইতে গেলে
আর বন্ধুত্ব থাকেনা, থাকেনা বিশ্বাস,
ডিকশনারীর অর্থের পূর্ণতা দিয়ে, নিষেধ
ধোঁয়ার মত ঘুরে ঘুরে ঘন্টা বাজিয়ে সেই
অর্থ শক্তকরে দেয়, স্বামী মানে বন্ধু নয়,
সঙ্গী নয়--প্রভু; চোখ বন্ধ করে থাকার
ব্যাখ্যা অজানা, তবুও ব্যাখ্যা খুঁজে রাখতে
হয়, যদি সিগারেটের স্বাধীনতাটুকু পাওয়া
যায়! কবিতা লিখব বলে বসে আছি, তখন
আকাশ ব্যস্ত, কবিদের সাথে তারা বন্ধুত্ব
করে না, মরা মরা শব্দের পেলবতা তাদের
বিরক্ত লাগে। সুপারসনিক বিমানের উলঙ্গতা
শিহরণ জাগায়, দীপ্তি ছড়িয়ে যায় চোখে, মুখে
আহ! ইচ্ছেমত ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ভেজা যায়;
না বলে বেরুতে চেয়েছিলাম, ঘাসে হাঁটব বলে
কবিদের যা স্বভাব আর কি! ঘাসে হাঁটব, ছুয়ে
দেখব--পরশে পরশে মনে হবে, মধুচন্দ্রিমার
মিলনে দ্রোপদীর অসমাপ্ত বস্ত্র শেষ হল বলে,
অমনি প্রশ্নবাণের হারিকেন ডিমের খোলার মত
চূর্ণ করে গেল--সাত সকালে কোথায় বেরুলে,
কেন যেতে হবে, ছুটির দিনে একটু রেস্ট নিতে
পারো, বিকেলে বেরুলে ভাল হত, আরেকটু
ঘুমোও, দুধকলার শরবত বানিয়েছি, ছেলেটা
কতদিন তোমার সাথে যায় না, কার কাছে যাবে,
একটা দিন রান্নায় তো হাত দিতে পার, ততক্ষণে
মনে পড়ে, কত অযত্নে ছেলেরা বড় হয়,
সঙ্গিনীর উদ্বিগ্নতায় স্পষ্ট হয়, অযত্নে বেড়ে
উঠা আমি এখন আমি নই, আমার অসংখ্য
শরীর, আত্মা, বোধ, চেতনা নব জন্ম নিতে
ব্যস্ত; রোদ সহ্য হয় না, ধুলো বিরক্ত লাগে
ঘাসের পরশে ব্যাকটেরিয়া, টোঙ দোকানে
ভাইরাস--ছেলেরা বড্ড অযত্নে বড় হয়।
তবুও মেনে নিয়েছি, জ্বর ব্যধির শরীর এখন
নধর হয়েছে সঙ্গিনীর যত্নে, হাচি এলে গরম
দুধ, এলাচি চা মগে মগে চলে, নিষেধ হয়
অসময় বাইরে বেরুবারে! তখন কবি শুনতে
পায়, কবিদের অযত্নই সার, টোঙের দোকান
আধপোড়া শিংড়া আর তেল ভাসানো দুধ চা
সাথে সিগারেটের স্বাধীনতা এগুলো কবিদের
জীবন-- সাথে গ্যাস্টিকের বেদনা,
শব্দের পর শব্দ লিখে গড়ে তোলে
বাঙালি নারীর প্রত্নপ্রতিমা।