উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর)অফিস।।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার মাঠে মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সবুজ পাটক্ষেত। পাটগাছ এক হাত মতো উচু হয়েছে। এতেই সবুজে মাঠ ভরে উঠেছে সোনালী আঁশ খ্যাত পাট। পাটের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় পাটচাষে আগ্রহী হয়েছেন রাজগঞ্জ এলাকার চাষিরা। পাটের সোনালী অতীতকে ফিরিয়ে আনতে রাজগঞ্জের মাঠে মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সবুজ পাটক্ষেত। বৃষ্টিহীন এই রোদে পুড়ে ও প্রচন্ড গরমে কৃষকরা তাদের পাটক্ষেত পরিস্কার-পরিছন্ন করছে দল বেঁধে। আশা-নিরাশার দোলাচালে এখনও কৃষকের আঙ্গিনা রঙিন করে রাখছে এই সোনালী আঁশ। প্রতি বছর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে ফসল ফলান কৃষক। সবুজ পাটকে রূপান্তরিত করেন সোনালী বর্ণে। এরপরও বিক্রি করতে গিয়ে পড়েন দুর্বাপাকে। কখনো ভালো দাম পান, আবার কখনো একেবারেই পান না! অনেক সময় আবার লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। এরপরও লাভের আশায় প্রতি বছরই পাটের আবাদ করেন চাষিরা।
জানাগেছে- গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি হয়েছেন কৃষকরা। এ বছরও কৃষকরা সেই বুকভরা আশা নিয়ে পাটের আবাদ করেছেন।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের পাটচাষি ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন- গত বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছিলো। দামও ভালো পেয়েছিলাম। এবছরও আড়াই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আশা করছি, ভালো ফলন পাবো এবং বাজারে দামও ভালো পাবো। হানুয়ার গ্রামের আরেক পাটচাষি খোকন মিয়া বলেন- এবছর বৃষ্টি কম থাকায় পাট গাছ বাড়ছে কম। এখন পাটের ক্ষেত পরিচর্যা করতে শ্রমিকদের মুজুরি বেশি দিতে হচ্ছে। তাতে করে উৎপাদন খরচ বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের একজন পাট ব্যবসায়ী বলেন- গত বছর উঠতি নতুন পাট প্রতিমণ ক্রয় করেছি এক হাজার ৬০০ টাকায়। মাঝামাঝি সময় থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। পাটের দাম কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা ভালো। এজন্য স্থানীয় কৃষকরা আবারো পাটচাষে ঝুঁকছেন। গত বছর পাটচাষিদের কাছ থেকে পাট ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে নগদ টাকায় পাট কিনেছে। তাই কৃষকের সমস্যা হয়নি। রাজগঞ্জের চালুয়াহাটি ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি অফিসার এসএম মারুফুল হক বলেন- পাট মূলত বৃষ্টিনির্ভর ফসল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে পাটের ফলন ভালো হবে আশা করছি।