বিশেষ পরিচিত হাত, সবিশেষ সুডৌল
তবুও, ভয়-শঙ্কা-আতঙ্ক, শুনেছি সেদিন
বন্ধুতায় আলাপেরত, বলিছ,'তবে কি কহিল?'
উত্তরে কি আসে যায়! তাকে বলে দিও,
এ জন্মের তরে বন্দী আমি, যুগান্তরে জিও।
দ্রৌপদীর কল্পলোকে, প্রযুক্তির নির্বিঘ্ন প্রবেশ
কলম উধাও কালিও নিঃশেষ,
লাগে না ওসব কবিতা রচিতে,
কি-বোর্ড আর মাউচের প্যাডে
আমাদের প্রেমটুকু নীরবে বাঁচিবে
তবুও শেষ আশা, নিবেদন করি, করকুঞ্জ পেতে
দেখা হয় যদি এ মনুমেন্টের তলে
নিয়ে যেও করযুগল ধরে সন্তর্পণে
সংসার পাতিব মোরা ক্ষণেকের তরে।
আমাদের সংসার হবে হরিণের মত
বনে বাদাড়ে ঘুরে, তারপর গভীর অরণ্যে
কোস্তরীর গন্ধে, আমার বিদায় হবে, রেখে যাব
সংসার, ক্ষণেকের প্রেম, কিছু অনুতাপ।
সেই ভাল ছিল, দূরে ছিলে, প্রেমে ছিলে, অনুক্ষণ;
কেন এত ভালবাসা, কেন আয়োজন
ছিড়ে যাবে মনুমেন্ট--ভেঙে টুকরো কাগজের মত,
নয়ত ক্ষয়ে যেতে পারে, কালিদাসীয় পাথর যেমত,
যার দেখা হয়নি কখন, মনুমেন্ট কেমন
মনুমেন্ট ছুঁয়ে দেখে অবাক অচেতন
এ এক স্বপ্ন, গর্ভবতীর মত; হঠাৎ ব্যথা নিয়ে
ত্রস্ত ধাত্রীর কোলে, মাথা থুয়ে ঘাম ঝরানো, তারপর
হাসি দিয়ে, নাড়ি ছেড়াধন, বুকে জড়িয়ে, ছেড়েছুড়ে
ঠাঁই হবে চেনাপরিচিত সেই বৃদ্ধাশ্রম!
তবুও যেন মনুমেন্টের তলে,
হারানো স্বপ্নেরা ডাঙ্গুলি খেলে
পরিচয় নেই কত পরিচিত জন
ঘুরে বেড়ায় যেন জীবিত স্বজন
মিলে মিশে গড়েছে আবার তারা
নির্জন জনতায় কবর পাড়া