ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের বৃদ্ধির তাৎপর্য হলো, ভগবৎপ্রেমী, ধর্মাত্মা, সদাচারী, নিরপরাধ এবং মানুষদের ওপর নাস্তিক, পাপী, দুরাচার, বলবান ব্যক্তিদের অত্যাচার বৃদ্ধি পাওয়া এবং মানুষের মধ্যে সদ্গুণ, সদাচার অত্যন্ত কমে গিয়ে দুর্গুণ-দুরাচারের অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়া। শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন, ‘হে অর্জুন, আমার এই দিব্য জন্ম ও কর্ম যিনি তত্ত্ব জানেন, তিনি দেহত্যাগ করে আর জন্মগ্রহণ করেন না, তিনি আমাকেই পেয়ে থাকেন।’
পুরাণাদিতে অবতারের অসুর-বিনাশের যে লীলা বর্ণনা আছে, ধর্ম সংস্থাপন বলতে কেবল তাই–ই বোঝায় না; ধর্মের দুটি দিক আছে: বাহ্য বা ব্যবহারিক ও অভ্যন্তরীণ বা আধ্যাত্মিক।