আমার ভাষা পেলাম ঠিকই কিন্তু আমরা কি পেরেছি ভাষার সঠিক মর্যাদা দিতে? আমরা কি পেয়েছি আমাদের বাংলা ভাষা ও তার ইতিহাসকে সঠিক মূল্যায়ন করতে? নাহ! আমরা পারিনি। যদি সত্যিই পারতাম ভাষার সঠিক মর্যাদা দিতে তবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের এই করুণ অবস্থা হতো না! এখন বিভিন্ন বিপনীবিতান, দোকানপাট, বাস, গণপরিবহন এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অপব্যবহার ও ভুল বানান লিখে ভাষা কে অপমান করা হচ্ছে। একবারের জন্য ও ভাবছি না যে, আমাদের মাতৃভাষা অর্জনের পেছনের আত্মত্যাগের ইতিহাসটি কত তাৎপর্যপূর্ণ। ইংরেজিতে অনর্গল যে কথা বলছে তাকে আমরা বাহবা দিচ্ছি। আবার আমারা ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষায় কথা বলাকে স্মার্টনেস করি। শুধু তাই নয়! আমাদের তরুণ সমাজের বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ খুব কম লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে তরুণদের মাতৃভাষায় সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। একুশ বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক, আমাদের চেতনাও গৌরবের উৎস। বাংলা সাহিত্য,সংস্কৃতি, লোকাচার ও জীবনবোধের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য একুশ প্রেরণাই শ্রেষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে , প্রতিটা বাঙালির সঙ্গে বিশ্বের প্রতিটা মানুষ নিজ মাতৃভাষাকে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।
শুধু একশে ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা ক্ষণিকের তরে জেগে উঠি। একটু পরেই শহিদদের উৎসর্গের কথা ভুলে যাই! তাই একজন তরুণ হিসেবে আমি মনে করি ভাষার মর্যাদা সব সময়ই দিতে হবে, প্রতিটি ক্ষেত্রে মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চা করতে হবে।
সাগর বিশ্বাস,
সরকারি সুন্দরবন কলেজ খুলনা
বাংলা বিভাগ