মণিরামপুর নাম করণ হয়েছে ১৭৮৫ সালে। জনশ্রুতি আছে রাজা সিতারাম রায়ের উকিল ছিলেন মণিরাম। মণিরাম'র নাম ধরে এই জনপদের নাম হয় মণিরামপুর। যশোর রাজবাড়ীর জনৈক মহিলা এখানে একটি মস্তবড় পুকুর খনন করেন। আজও তা কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। ঊনবিংশ শতকের প্রথমে পুকুরটি খনন করা হয়। এককালের স্রোতস্বিনী আজকের মরা নদী হরিহরের তীরে মণিরামপুর অবস্থিত।
মণিরামপুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা:
কলেজ - ১৩টি,
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনাল সহ - ১২০টি , প্রাথমিক বিদ্যালয় -২৬৬টি ,
মাদ্রাসা -৫৭টি ,
মসজিদ -৮২১টি,
মন্দির-৫৮টি ।
মণিরামপুর উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম:
মণিরামপুর উপজেলার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাশিপুর সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসা,প্রতিষ্ঠিত ১৯০৮ সালে।
মণিরামপুর উপজেলার প্রথম স্কুল রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯১৬ সালে।
নেহালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯১৭ সালে,
কুলটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯২১ সালে,
কুলটিয়া বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯২৪ সালে,
মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯৩২ সালে,
ঢাকুরিয়া প্রতাপকাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯৩৯সালে,
মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯৬৫ সালে,
নেংগুড়াহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ১৯৬৮ সালে।
মণিরামপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৯৬৭ সালে ,
মশিহাটি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত ১৯৭০ সালে ।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ "নীলকুঠি"জয়পুর গ্রামে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মণিরামপুর উপজেলা।
মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৭ টি
১৯৭১ সালে পাকিবাহিনী মনোহরপুর গ্রামের নিরীহ ২৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে ছিল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আকরাম সড়ক।
উপজেলার পুরুষ সংখ্যা ৩৮২৪৬৫ জন আর মহিলা ১৯৫৩৩৮ জন। (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)
মণিরামপুর থানাকে উপজেলা করা হয় ১৯৮৩ সালে আর মণিরামপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে।
মণিরামপুর উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা এসে এমন লুৎফর রহমান,
প্রথম নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমান।