মোঃ শাহ্ জালাল।।
শীতের তীব্রতায় কাপছে যশোর জেলা। কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে প্রাণিকুল। ঘুণ কুয়াশার যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা সহ প্রতিটি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এধারা আরো দুএকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গসহ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার সকালে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরের পাশে খুলনা জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ঘণ কুয়াশা ছিল। তারপর সূর্যের দেখা মেলে।
এবং গত দুইদিন ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। বেলা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোন উত্তাপ। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও পশু-পাখি এবং কৃষকরা। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ গত দু’দিন ধরে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীত নিবারণের জন্য অনেকে খড়কুটায় আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছেন।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা দেশ। ফলে যশোরেও একই অবস্থা। শুক্রবার দিনভর দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য উঁকি দিতে পারেনি। মাঘের শুরুতেই নেমে এসেছে শীত। ঘরের বাইরে পা রাখতেই শীতে জমে যাচ্ছে মানুষ। গ্রামাঞ্চলের জনজীবন সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার থেকে দিন ও রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এদিকে শীত বাড়ার সাথে সাথে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে ফুটপাতে শীতের জামা, মোজা, টুপিসহ নানা সামগ্রী কিনতে ভিড় করছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিপণিবিতানেও শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম পড়েছে। সবচেয়ে বেশি জমজমাট ফুটপাতের মার্কেট।