04/20/2025 মানবকল্যাণে ডাঃ নুরুল ইসলামের অসামান্য ভুমিকা
মানবকল্যাণে ডাঃ নুরুল ইসলামের অসামান্য ভুমিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:৪৩
কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা স্বত্বেও সব সময় নিজেকে জন সাধারণের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী মরহুম বর্ষিয়ান জননেতা ডাঃ নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুল।ঘুরে বেড়িয়েছেন শ্যামকুড় ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত।প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পায়ে হেটে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নানা সমস্যার সমাধান করার লক্ষে কাজ করেছেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রচুর ধন সম্পদের মালিক না হলেও মানুষের জন্য সাধারণ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত।বয়স্ক/বিধবা/পঙ্গু/মাতৃত্বকালীন ভাতা সকল কার্ড বিনা খরচে মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের সমাজ সেবা অফিস সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ধন্না দিয়েছেন সার্বক্ষনিক।
শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাধারণ সুবিধা বঞ্চিত কেটে খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিনিয়তই কাজ করছেন।তিনি প্রতিনিয়ত মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক তত্ত্বাবধায়কের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত তার সাথে বাস্তবায়ন কল্পে কাজ করছেন।মনিরামপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্যামকুড় ইউনিয়নের প্রাথমিকভাবে বরাদ্দকৃত ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য বিনা মূল্যে জমি নেওয়া,তা রেজিস্ট্রেশন করা এবং সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন এলাকা নির্ধারণ সহ সার্বিক কাজ দেখাশোনা দায়ভার তুলে দেন ডাক্তার নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুলের উপর।ডাক্তার সাহেব এ কাজ গুলি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তা সম্পন্ন করেছিলেন যার সুফল আজ শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ উপভোগ করছে।
শ্যামকুড়ের আলহাজ্ব এফাজতুল্লাহ গাজী,ডাক্তার নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুল,আঃ গনি সরদার, অধ্যাপক ড.চিত্তরঞ্জন হালদার স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী শ্যামকুড়ের আধুনিক সমাজ গঠনে যাদের ভূমিকা ছিলো চরম সাহসিকতা আর বীরত্বপূর্ণ।
অদম্য সাহসিকতা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় টিম তৈরী করে রাজাকার আলশামসদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শক্ত হাতে তাদের প্রতিহত করেন।
যুদ্ধ থেমে গেলেও রাজাকার বাহিনীর ডাকাতি লুটপাট চলতে থাকে।যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন মুজিব সরকারের সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে চিনাটোলা বাজারে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পুলিশ ক্যাম্প তৈরিতে সহায়তা করেন ডাক্তার নুরুল ইসলাম সহ ঐ সমাজ সেবকরা এবং তৎকালীন কওসার বাহিনীর কাছ থেকে ২১ টি মরণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র (থ্রি নট থ্রি রাইফেল)উদ্ধার করে তা সরকারের কাছে জমাদেন।
ডাক্তার নুরুল ইসলামসহ এলাকার অনেক সমাজ সেবকদের নিয়ে গড়ে তোলা সমাজ সেবকদের নিয়ে তৈরি করেন ঐতিহ্যবাহি শ্যামকুড় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে রাজাকার বাহিনী কর্তৃক পুড়িয়ে দেওয়া শ্যামকুড় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংষ্কার ও ঘোসের হাটে নাট্যদল সৃষ্টি করে শিক্ষা ও সাংস্কৃতির উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি করেন।এলাকায় আনেন অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ বেগবান করতে, যুবসমাজ কে একত্রিত রাখার জন্য সৃষ্টি করেন সামাজিক সংগঠন উত্তরণ সংঘ। যার উপদেষ্টা সদস্য ছিলেন ডাঃ নুরুল ইসলাম।
ডাঃ নুরুল ইসলাম যিনি একাধারে ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সফল সংগঠক। আর্থিক অসচ্ছলতা থাকলেও তার নীতি,আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায়। জীবনে অনেক প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তিনি কখনও রাজনৈতিক পট থেকে বিচ্যুত হননি। রাজনীতির মাঠে কর্মি সৃষ্টির জন্যে পেয়েছিলেন ড.চিত্তরঞ্জন হালদার ও আলহাজ্ব এফাজতুল্লা গাজীর মতো দুজন ধনী সমাজ সেবক।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করার কারনে বহুবার হামলা,মামলার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।নিজের সাংসারিক উন্নয়নে তিনি কখনও চিন্তা করেননি।সবসময় সমাজ পরিবর্তনের জন্য ব্যাকুল হয়ে মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন।তিনি অত্যন্ত ভাবুক মনের মানুষ ছিলেন।
মরহুম বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ডাক্তার নুরুল ইসলাম একাধারে কাব্যিক মনা ব্যক্তি ছিলেন।সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই হাতে পত্রিকা নিয়ে প্রায় সন্ধ্যা অবদি সেই পত্রিকা থেকে অন্য পত্রিকার পাতার সকল পাতা পড়ে তারপর অন্য কাজ।সারাদিনের নাওয়া খাওয়া ভুলেই যেতেন পড়ার নেশায়।এমন পড়ুয়া মানুষ আজ কালের সমাজে খুজে পাওয়া মুসকিল।
প্রচন্ড দেশপ্রেম আর মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা সম্পন্ন এমন গুনি মানুষ প্রতিটি সমাজে থাকলে সমাজ পরিবর্তন হয়ে যেত!এমন মন্তব্য এখন ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নের হাট হাজার সহ সকল আলোচনার টেবিলে।সততা,নিষ্ঠা আর দায়িত্ব বোধে শতভাগ পরিক্ষীত ডাঃ নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুল তাই শ্যামকুড় ইউনিয়নবাসির কাছে বেঁচে থাকবেন হাজার বছার ধরে।
ব্যক্তিগত জীবনে নুরুল ইসলাম তাজুল ডাক্তার পল্লী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হওয়ায় বিনা মূল্যে বিভিন্ন গরীব মানুষদের চিকিৎসা দিয়েছেন কিন্তু সংসার আর নিজের পরিবারের চিন্তা কখনোই করেননি।অবশ্যই তা নিয়ে তার পরিবারের কোন সদস্যদের কোনদিন কোন আক্ষেপ ছিল না কখনও।সংসার জীবনে ৫ পুত্র আর ৪ কণ্যা সন্তানের জনক ডাঃ নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুল প্রত্যেক সন্তানকেই সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।প্রায় সকলেই উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
নিজ সন্তানদের নিজের মত আদর্শবান মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন সব সময়।ডাক্তার নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুলের কোন সন্তান কখনও কোনদিন কারও সাথে কোথাও বেয়াদবী করেছেন এমন নজীর শ্যামকুড় ইউনিয়ন সহ মনিরামপুর উপজেলার কোন এলাকার কেউ দিতে পারবে না।১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নসহ মনিরামপুর উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গণে ডাঃ নুরুল ইসলাম বিশ্বাস তাজুল একজন সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
আমরা শ্যামকুড় ইউনিয়নবাসি একজন সৎ,দেশপ্রেমিক,কর্মিদরদী নেতা হারালাম আর সমাজ হারালো একজন গুণি সমাজ সেবককে।সমাজের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভুমিকা রাখার জন্য আজ তিনি সকলের কাছে স্মরণীয় আর বেঁচে থাকবেন সকলের হৃদয় যুগ যুগ ধরে।মহান আল্লাহ পাক মরহুম ডাক্তার নুরুল ইসলাম তাজুলকে বেহশত নসীব করবেন এ কামনা রইল_আমিন।
লেখক,
বি এম হাফিজুর রহমান হাফিজ।
সাংগঠনিক সম্পাদক ১,
১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ
এবং
গণমাধ্যম কর্মি।