স্টাফ রিপোর্টার।।
মহান বিজয় দিবসে যশোরের মনিরামপুরে সোনালী ব্যাংকে ঝাড়ুর লাঠিতে(মপ) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় পতাকা অবমাননায় জনমনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে বৃহস্পতিবার ব্যাংক ম্যানেজার এবং আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি তদন্ত করতে সরেজমিন এসেছেন সোনালী ব্যাংক খুলনা বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার এবং যশোরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার।
জানাযায়, বুধবার মহান বিজয় দিবসে সারাদেশের ন্যায় মনিরামপুরেও সরকারি বেসরকারিসহ সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনাতনের মাত্র ৫০ গজ পশ্চিমপাশে সোনালী ব্যাংক শাখার ভবনে ঝাড়–র লাঠিতে(মপ) জাতীয় পতাকা উড়তে দেখে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি দৃশ্যটির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পর পরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জকির হাসান, সহকারি কমিশনার(ভূমি) পলাশ দেবনাথ, ওসি রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। সাথে সাথেই পাতাকাবাহী ঝাড়–র লাঠি নামিয়ে ফেলা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান জানান, এ ব্যাপারে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষনিকভাবে অবহিত করা হয়।
আর এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন তদন্তে আসেন সোনালী ব্যাংক খুলনা বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) রেজাউল করিম এবং যশোরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএম) শফিকুল ইসলাম। ডিজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর বেলা ১১ টায় ব্যাংক ম্যানেজার ফারুকুজ্জামান এবং আনসার সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে যশোর প্রিন্সিপাল অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হোসেন জানান, সোনালী ব্যাংকের দায়িত্বরত আনসার সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্রত্যাহারের পর জেলা অ্যাডজুটেন্ট অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম আরো জানান, জাতীয় পতাকা অবমাননার সাথে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।