মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। মণিরামপুরে জমাজমির বিরোধকে কেন্দ্র করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের ওপর এক পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। সোমবার সকালের দিকে উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় ওই পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

হরিহরনগর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মুনছুর রহমানসহ এলাকাবাসী জানায়, মদনপুর মৌজার পৃথক ২ দাগে মোট ৫৫ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখলে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোজাম্মেল হক। কিন্তু এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশী এনামুল হোসেনের সাথে মোজাম্মেল হকের বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির জন্য দু’পক্ষের দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তি আসাদুল হক এবং শফিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে মোতাবেক ওই ২ ব্যক্তি শিমুল হোসেন নামে একজন সার্ভেয়ারকে নিয়ে সোমবার সকাল ১০ টারদিকে বিরোধীয় ওই জমি পরিমাপ করতে যান। এসময় সেখানে উভয়পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় এনামুল হোসেনের ছেলে ছুটিতে বাড়ীতে অবস্থান করা পুলিশ কনষ্টেবল শিমুল হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন পরিমাপ জোরপূর্বক বন্ধ করে দেন। এসময় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে শিক্ষক মোজাম্মেলের ওপর হামলা চালানো হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুল ইসলাম আবু তালেব, আব্দুল আলিমসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, এনামুলের ছেলে শিমুল পুলিশ সদস্য হবার সুবাদে এলাকার কাউকে মানুষ বলে গন্য করেননা। খুলনার কর্মস্থল থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়ে চলে গেছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য শিমুল হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে শিমুলের পিতা এনামুল হক হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ দিকে হামলার শিকার মোজাম্মেল হক বাদি হয়ে শিমুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।