মাহবুবুর রহমান জিলানী,টঙ্গী।। গাজীপুরের টঙ্গীতে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সদস্য নাহিদা ইসলাম ইয়াসমিনের দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগান। গতকাল দুপুরে টঙ্গীর দত্ত পাড়া এলাকায় নাহিদার নিজ বাসায় গিয়ে এই দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগানের দেখা পাওয়া যায়। অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন এই ছাদ বাগান। প্রথমে শখের বশে ছাদ বাগান করার চিন্তা মাথায় এলেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমানোর উদ্দেশ্যে বাগান শুরু করেন তিনি। এ সময় নাহিদা ইসলাম ইয়াসমিন বলেন, ক্ষুদ্র পরিসরে বাসার ছাদে এই বাগান শুরু করি। ধীরে ধীরে অনেক ফল ও ফুলের চারা রোপণ করি। শুধু আমাদের মানসিক প্রশান্তি দেয় না বরং বিভিন্ন পশুপাখির খাদ্যের চাহিদাও মেটায়। পরিচ্ছন্ন ছাদ বাগান বাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। তার ছাদ বাগানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল, তৃণ, শাক-সবজি এবং ওষুধি গুণসম্পন্ন গাছ।বাগান ঘুরে দেখা যায়, নাহিদার বাগানে ফলের মধ্যে আছে আম, কলা, ডালিম, আপেল, আনারস, লেবু, পেয়ারা ও বরই। শাকের মধ্যে কলমিশাক, ডাটাশাক, লাউ শাক, কুমড়া শাক, সজনের শাক, পুঁই শাক প্রভৃতি। সবজির মধ্যে আছে ধুন্দল, শসা, বেগুন, টমেটো, লাউ, কুমড়া, করলা, বিলাতি উচ্ছে, সজনে ডাঁটা, ডাঁটা, পেঁপে, শিম, ঝিঙে প্রভৃতি। ফুলের মধ্যে রক্ত জবা, ঘাসফুল, নয়নতারা, কামিনী, গন্ধরাজ, রঙন, শ্বেতদ্রোণ, নীল হুড়হুড়ে। ওষুধিগুণসম্পন্ন গাছের মধ্যে নিম, তেলাকুচা, কালোকেশী, কুকশিম, মেহেদী ও দুধিয়া প্রভৃতি। তৃণজাতীয় গাছের মধ্যে মুথা ঘাস, দূর্বাঘাস ও ক্যাকটাস।নাহিদা আরো বলেন, ‘ছাদ বাগানের যত্নে প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় গাছে পানি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছত্রাক সংক্রমণ ও পোকামাকড় দূর করতে ছত্রাকনাশক এবং গাছের পুষ্টির জন্য জৈব সার ব্যবহার করা হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিশুদ্ধ ফল, শাক-সবজি খাওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বাজারের কৃত্রিম ও রাসায়নিক দ্রব্যের সয়লাবের মধ্যে নিজের হাতে ফলিয়ে খাওয়া অনেক বেশি আনন্দের।ছাদ বাগানের পরিচর্যায় পরিবারের সবাই সাহায্য করেন বলে জানান তিনি । তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে আমার মা আমার অনুপস্থিতিতে বাগানের যত্ন নেন।’
নাহিদা মনে করেন, ‘রাজধানীবাসীর জন্য ছাদ বাগান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি পূরণের জন্য ছাদ বাগান এক বিশেষ উদ্যোগ।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং বিশুদ্ধ খাবারের নিশ্চয়তায় ছাদ বাগানের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমার ছাদকৃষির পরিসর আরও বাড়াতে চাই। যেন অন্যরা উদ্বুদ্ধ হতে পারেন।