03/14/2025 প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও নিরাপত্তাহীনতায় গাজীপুরে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৫৪
স্টাফ রিপোর্টার।। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনিরের ক্যাডার বাহিনীর বিভিন্ন প্রকার হুমকী-ধামকীতে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন-যাপন করছেন একই ওয়ার্ডের দক্ষিন খাইলকুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান ও তার পরিবারের লোকজন। শুধু হুমকী-ধামকীই নয় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ওয়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল আলম এনামুলের ডিস ব্যবসা থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবসা দখল করে নিয়েছে হাজ্বী মনিরের লেলিয়ে দেওয়া ক্যাডার বাহিনী। উক্ত ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল আলম এনামুল স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গত ২৩/০৯/২০ইং তারিখে রেজিষ্ট্রি যোগে এবং সশরীরে হাজির হয়ে ঢাকা পুরাতন বিমান বন্দর তেজগাঁও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়, অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক সিআইডি প্রধান মালিবাগ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জেনারেল রেজিষ্ট্রার মহোদয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ইউনিক হাইটস সচিব বরাবর, ঢাকা আইনজীবি সমিতি ঢাকা বার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবর, গাজীপুর রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ ইনভেস্টিকেশন ব্যুরো (পিবিআই) প্রধান কার্যালয়, পুলিশ ইনভেস্টিকেশন ব্যুরো (পিবিআই), গাজীপুর। গাজীপুর জেলা পুলিশের সিআইডি বরাবর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন, গাজীপুর জেলা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর জেলা দায়রা জজ আদালত, বার কাউন্সিল, গাজীপুর। বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। শুধু লিখিত অভিযোগই নয়, আশরাফুল আলম এনামুল নিজে বাদী হয়ে কাউন্সিলর হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছে। যার নং-১১৪, ০৩।০৯।২০ইং আশরাফুল আলম এনামুলের স্বাক্ষরিত দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের ৩৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনির ও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইনারা সরকারের প্রতিনিধি পদে বহাল থেকে তারা আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে জোর পূর্বক প্রভাব খাটিয়ে দখলসহ আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকী-ধামকী প্রদান করে আসছে। সাবেক কাউন্সিলর উক্ত কর্মকান্ড থেকে পিছিয়ে গেলেও বর্তমান কাউন্সিলরের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে। আশরাফুল আলম এনামুল বলেন, আমি ১৯৯৮ইং হতে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর অধীনে ফিড অপারেটর লাইসেন্স নং-এফ ও-৬৭৩, রেজিঃনং-৯৩২ মোতাবেক গাজীপুর মহানগরের ৩৮নং ওয়ার্ডসহ ৩৫ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডের কিছু অংশে স্কাই লাইন ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক নামক ডিস লাইন সংযোগ দেয়া সুনামের সহিত ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। গত ২৮।০৮।
[gallery ids="1457,1458"]২০ইং তারিখ সকাল ১১টার দিকে হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনিরসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা লোকজন পাশ্ববর্তী ওয়ার্ডের দক্ষিন কলমেশ্বর এলাকায় আমার কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে আমার ডিস ব্যবসা দখল করার চেষ্টা করে এবং আমার কর্মচারীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে এবং তারা উক্ত ডিস লাইনের অফিসে কাজ করিলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকী প্রদান করে তাড়িয়ে দেয় এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনিরের ক্যাডার বাহিনীর হাতে এলাকা এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক অফিস, উক্ত অফিসগুলোতে রাখা হয়েছে উঠতি বয়সের যুব সম্প্রদায়কে তাদের হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এলাকার মা-বোন থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ। উক্ত ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। যা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বর্তমানে আমি আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হারিয়ে বর্তমানে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী অবস্থায় জীবন-যাপন করতেছি। আশরাফুল আলম এনাম আক্ষেপ করে বলেন, আমার বাবা একাত্তরের রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে এতগুলো জায়গায় অভিযোগ দেওয়া এবং মামলা করে রায় আমার পক্ষে হবার পরও আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছিনা। হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে সাবেক কাউন্সিলর প্রথমে এক হলেও বর্তমানে কাউন্সিলর হাজ্বী মনিরের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, এখন একমাত্র ৩৮নং ওয়ার্ডের হাজ্বী মনিরুজ্জামান মনিরের ক্যাডার বাহিনীর কাছে আমি এক প্রকার জিম্মি হয়ে আমার পরিবারকে নিয়ে হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছি। এ ব্যাপারে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার গাছা-পূবাইল জোনের এসি এহসানুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উক্ত অভিযোগের কাগজ আমাদের হাতে এসে পৌছেছে, আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি, সঠিক ভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে আমরা সঠিক অনুসন্ধানের রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাব। এ ব্যাপারে ৯.১৯ মিনিটে ৩৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজ্বী মুনিরুজ্জামান মনিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অপরপ্রান্তে কল হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি এবং ফোনের লাইন কেটে দেন।