04/20/2025 কেশবপুরে প্রেমের টানে ধর্মান্তরীত হয়েও শেষ রক্ষা হলো না এক যুগলের
অলিয়ার রহমান
২০ মে ২০২৩ ০৫:১৮
অলিয়ার রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের কেশবপুরে প্রেমের টানে ধর্মান্তরীত হয়েও শেষ রক্ষা হলো না এক প্রেমিক যুগলের। দু‘জনের ঠিকানা এখন দুই মেরুতে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার আলতাপোল এলাকায়। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পৌর এলাকার আলতাপোলের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী শেখ মসিউর রহমানের ছেলে শেখ ফেরদাউস রহমানের (২৩) সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল উপজেলার বসুন্তিয়া গ্রামের সুমিত রায়ের মেয়ে শিল্পা রায়ের (২১)। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া হতো। দু‘জনেই বয়োপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মান্তরীত হয়ে বিবাহ করার। এরই সূত্র ধরে গত ১৬ মে ওই প্রেমিক যুগল অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। গত ১৭ মে শিল্পা রায় সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম দেয় জান্নাত রহমান তুলি। ১৮ মে শেখ ফেরদাউস রহমান ও জান্নাত রহমান তুলি এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এসময় শেখ ফেরদাউস রহমান তার স্ত্রী জান্নাত রহমান তুলিকে নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতে থাকে। এদিকে, দীর্ঘ ৩ দিন মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে সুমিত রায় কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরই সূত্র ধরে ১৯ মে রাতে কেশবপুর থানা পুলিশ শেখ ফেরদাউস রহমানের বাসা থেকে জান্নাত রহমান তুলিকে উদ্ধার করে।
শেখ ফেরদাউস রহমানের পিতা শেখ মসিউর রহমান অভিযোগ করেন, উদ্ধার হওয়া তুলি থানা পুলিশের সামনে ধর্মান্তরীত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করে। তার আর ফেরার সুযোগ নেই বলে মা-বাবাকে জানিয়ে দেয়। শেষ মুহূর্তে জান্নাত রহমান তুলি মা-বাবার চাপে তাদের সাথে যাওয়ার কথা বললে দুজনের স্থান হয় দু‘মেরুতে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মফিজুর রহমান বলেন, স্বইচ্ছায় শিল্পা রায় তার মা-বাবার সাথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় তাকে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। #