04/20/2025 যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চরমপন্থীদের আগ্রাসন
বিশেষ প্রতিনিধি।।
৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ২০:৩২
যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চরমপন্থী এক বাহিনীর পতনের পর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। গত বছর যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে চরমপন্থী দলের নেতা সহ ও এ দলের একাধিক সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ কিছু এলাকার মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল। তবে এ অঞ্চলে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ সংগঠনের বেশ কয়েকটি গ্রুপ।অভয়নগর উপজেলার সরখোলা, শংকরপাশা, সিদ্ধিপাশা, চলিশিয়া, আন্ধা, বেতভিটা,দামুখালি, দত্তগাতি, ডুমুরতলা, মনিরামপুর উপজেলার সুজাতপুর, হাটগাছা, মশিয়াহাটি সহ কেশবপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ঘের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘের দখল সহ দেশের আইন পন্থী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জরিত এ সকল চরমপন্থীরা।
গত বছর অভয়নগরের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারের নিকট চাঁদার টাকা না পেয়ে ১০ জানুয়ারি তাকে গুলি করে হত্যা করার পর খুনের রেফারেন্স টেনে বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদা চাওয়ার নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । যশোর জেলার বেশ কয়টি উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ -১৬ জানুয়ারি হত্যার সাথে জরিত বেশ কয়েকজন চরমপন্থী দলের সদস্যকে সাফল্যের সাথে
গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে থাকা অবৈধ অস্ত্র,গুলি, বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ভার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সর্বশেষ তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল মাদারীপুর জেলায় অভিয়ান চালিয়ে বাহিনীর এক অংশের প্রধান কিরনকে আটক করে তার দেয়া তথ্যে তারই দুই সহযোগীকেও আটক করে অস্ত্র গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ। তবে চরমপন্থী দলের এই বাহিনীর গ্রেফতারের পর সরখোলা, শংকরপাশা, সিদ্ধিপাশা ,চলিশিয়া, আন্ধা, বেতভিটা, ডুমুরতলা, সুজাতপুর, হাটগাছা,বেতভিটা, দামুখালি, দত্তগাতি, মশিয়াহাটি সহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাথাচার দিয়ে উঠেছে চরমপন্থীরা। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাছে এ অঞ্চলের সাধারন মানুষেরা। সম্প্রতি অভয়নগর, মনিরামপুর ও ফুলতলা সীমান্তবর্তী এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় চরমপন্থী দলের সদস্য ফুলতলার রকিবুলকে তার কয়েক মাসের মাথায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় সুব্রতকে। এসব হত্যার পিছনে চরমপন্থী দলের যোগসাজশ আছে বলে গুঞ্জন
আছে। ধারনা করা হচ্ছে প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এসকল চরমপন্থীরা। সাধারন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলা সুপারি নিয়ে হত্যা, ঘের দখল, টেন্ডার বাজি এদের প্রধান কাজ। ঘের ব্যবসায়ী ও অসাধারণ মানুষ প্রাণের ভয়ে অথবা ব্যবসায় ক্ষতি ঠেকাতেই ইচ্ছের বিরুদ্ধেই এ সকল চরমপন্থীদের দিতে হচ্ছে তাদের চাহিদা মত টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ঘের ব্যবসায়ী জানান, এদের টাকা না দিয়ে ঘের ব্যবসা করা সম্ভব নয়। টাকা না দিলে রাতের আধারে তারা ঘের থেকে জাল টেনে ইচ্ছে মতো মাছ ধরে নিয়ে যায়। আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, আইন আমাকে ও আমার ঘেরকে কত সময় নিরাপত্তা দিবে? তাছাড়া পুলিশে খবর দেবার পর পুলিশ আসতে আসতে ওদের যে ক্ষতি করার করা হয়ে যাবে। তাই এদের ক্ষুব্ধ না করে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই চাহিদামত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।