04/21/2025 পটিয়ায় বীরনিবাস নির্মাণে বাধাঁ ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৫
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: পটিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পাইকপাড়া এলাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক চৌধুরী পৌত্রিক ভূমিতে বীরনিবাস নির্মাণে বাধা, ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মরহুম মনির আহমদ চৌধুরী’র পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মুজিবুল ইসলাম চৌধুরী, ও মো: রানা’র বিরুদ্ধে পটিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবরে পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক চৌধুরী দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে তার পৌত্রিক জায়গায় ঘর নির্মাণের জন্য পরিমাপ করে রাখেন। পরবর্তীতে সরকার সারাদেশে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীরনিবাস ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর প্রেক্ষিতে পটিয়া উপজেলায় ৪২ জন বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বীরনিবাস ঘর বরাদ্দ হয়। এতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক চৌধুরী উক্ত তালিকায় ১০ নাম্বারের রয়েছে। সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর পাওয়ার পর বীরমুক্তিযোদ্ধা তার পৌত্রিক ভিটায় বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে প্রভাবশালী এক ব্যাক্তির প্ররোচনায় প্রতিপক্ষরা বাঁধা ও বাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুর করে। এসময় মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করা হয় বলে মুমিন হক চৌধুরী জানান।মুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক চৌধুরী বলেন,সরকারি ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দকৃত বীরনিবাস ঘরনির্মাণ করতে নিজ পৌত্রিক ভিটায় যায়। উক্ত জায়গা চারদিকে বাউন্ডারী নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রতিপক্ষরা আমার ভিটায় প্রবেশ করে বাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুর এবং আমাকে মারধর করে। এ সময় নির্মান শ্রমিক ও স্থানীয়রা তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আমি বর্তমানের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এ ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও পুলিশ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। বাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি জানান।