04/21/2025 হাইরে সিমাখালী ব্রীজ!
রাশেদ রেজা, মাগুরা প্রতিনিধি।।
১ আগস্ট ২০২২ ০৬:২৭
মাগুরার শালিখা উপজেলার ঢাকা খুলনা মহাসড়কের সীমাখালি বাজারের চিত্রা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়েছে ২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে, দুটি পাথর বোঝাই ট্রাক ও একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে প্রায় ২৫ ফিট নিচে চিত্রা নদীতে ভেঙ্গে পড়ে ৫০ মিটার লম্বা এ ব্রীজটি। ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় ঢাকা-মাগুরা, যশোর-খুলনা, ঢাকা-কলকাতা ও সাতক্ষীরা জেলার দূরপাল্লার সকল প্রকার যাত্রীবাহী পরিবহন, লোকাল বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঢাকা থেকে মাগুরা-ঝিনাইদহ হয়ে যশোর যেতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে আসা যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছিল এ রুটের যানবহনগুলো। মাগুরা সড়ক বিভাগের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক নির্মাণ করা হয় বেইলি ব্রীজ। মূল সেতু নির্মাণ হওয়ার আগেই ভেঙে যাওয়া ব্রীজের পাশে নির্মিত হওয়া বেইলি ব্রীজটি এখন দক্ষিণ অঞ্চলে যানচলাচলের একমাত্র অবলম্বন। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় লাগাতার মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ উক্ত বেইলি ব্রীজ মেরামতের কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে সারাক্ষণ। মেরামতের কাজ চলাকালীন সময়ে তীব্র যানজটের পড়ে সিমাখালী অঞ্চলের জনগণ এমনকি বেইলি ব্রীজটি সরু হওয়ায় ২টি প্রাণহানি সহ বেশকিছু দূর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে এই জনপদের লোকজন।
চিত্রা নদীর উপর ৫২ মিটার লম্বা এ বেইলি ব্রীজটি ১৯৮৩ সালে নির্মিত হলেও অতিরিক্ত লোডিং এর কারণে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর থেকে ৫ বছর ৫ মাস ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো সাঁকো নির্মাণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উন্নয়নমূলক এ কাজের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারিনি। গত ঈদুল আযহার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় এই জনপদের কাছে উন্নয়নমূলক এই কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ ও সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।
যদিও গত ২১ মার্চ ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাগুরায় ১৭৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যায় সাপেক্ষে যে ৯টি প্রকল্প ভিত্তিপ্রস্থ উদ্বোধন করেন চিত্রা নদীর উপর ৯৬ মিটার লম্বা ব্রীজটি তার মধ্যে অন্যতম। এরপর ১৮ ই জুলাই ২০১৯ সালে মাগুরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ভেঙে পড়া ব্রিজটি অপসারণের জন্য অচিরেই ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে এবং এখানে একটি নতুন চারলেন সড়ক উপযোগী ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হবে, সে হিসাবে আজ ৩ বছর ১১ দিন ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলছে, মূল ব্রীজের কাঠামো এখন দৃশ্যমান হলেও সেতু উদ্বোধন ও জনদূর্ভোগ মুক্তি কবে আসতে পারে এই সংশয়ে এই জনপদের জনগণ।
সেতু সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা গড়ব বাংলাদেশ কে জানান, সেতু নির্মাণের শুরুতে করোনা ও শীতকালীন অনাবৃষ্টির কারণে নির্মানাধীন কাজ বন্ধ ছিল, এখন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সংকটের কারণে ঈদের পর থেকে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে যদিও সেতুর দুইপাশের চারলেনের কাজ চলমান, আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিক সংকট কেটে যাবে এবং দ্রুত নির্মানাধীন কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে আমার প্রতিষ্ঠান এসপেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কাজ শেষ করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।