04/21/2025 কে এই আনোয়ারুল কবীর! তার অপকর্মের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে যশোরবাসী
তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর (যশোর)।।
৩০ জুলাই ২০২২ ০১:২৫
ইতিমধ্যে ফেসবুকের ত্রাস ও চিটার মানে পরিচিত কে এই আনোয়ারুল কবীর? তার অপকর্মের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে যশোরবাসী। যশোরের আশেপাশে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় তিনি নিজেকে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের উপ-কমিটির সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য বলে দাবি করেন। অনেকের কাছে তিনি এক আতঙ্কের নাম! যাকে তাকে নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুকে নানা ধরনের সমালোচনামুলক মন্তব্য করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। তার হাত থেকে বাদ যায়নি যশোরের রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাংবাদিক, নারী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব কিংবা প্রভাবশালীরাও। এবার তিনি যশোর জেলার পরিচিত মুখ সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক এস এম ইয়াকুব আলীকে নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করে যাচ্ছেন।
বিশেষ খেতব চিটার হিসাবে পরিচিত পাওয়া আনোয়ারুল কবীর তাঁতী লীগের উপ কমিটি এনে দিবে বলে যশোরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাঁদেরকে নি:স্ব করে গা ঢাকা দিয়েছে। অথচ সে যে তাঁতী লীগের উপ-কমিটির সদস্য দাবী করে, তারই কোন অস্বিত্ব নেই। এই চিটার সম্মানিত ব্যক্তিদের ফেসবুকের মাধ্যমে চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুরুচি পূর্ণ কথাবার্তা লিখে সম্মানহানী করে। তার এ ধরনের মনগড়া কর্মকান্ড থেকে বাদ যায়নি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সিটি প্লাজা, যশোর- স্বত্বাধিকারী ও মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ লেখা লিখি প্রতিনিয়ত আনোয়ারুল কবীরের ফেসবুকে। ফলে সমাজের রাজনীতি ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ মানুষ ফুসে উঠেছে। এক শ্রেণীর কাছ থেকে অর্থের বিনিময় তিনি এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এস এম ইয়াকুব আলীকে ভুয়া সিআইপি বলে আখ্যা দিচ্ছেন আনোয়ারুল কবীর। তবে জানাযায় এস এম ইয়াকুব আলী বাংলাদেশে সবর্চ্চ রেমিটেন্স পাঠানোর কারণে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় থেকে বর্তমানে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত জনাব গোলাম সরোয়ার ইতিপূর্বে জেদ্দার কনসল জেনারেল ছিলেন। তিনি এস এম ইয়াকুব আলীকে সিআইপি (এনআরবি) কার্ড প্রদান করেন।
বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এস এম ইয়াকুব আলীর পরিবার বর্গ বলেন আনোয়ারুল কবীর এর সাহস থাকলে রাষ্ট্রদূত মহোদয়কে জিজ্ঞাসা করুন একটা ভুয়া সিআইপি কার্ড কিভাবে প্রদান করলেন।
আনোয়ারুল কবীর এর এই ধরনের কর্মকান্ডে ফেসবুকে উঠেছ প্রতিবাদের ঝড়। অনেকে প্রতিবাদ লিখেছেন আনোয়ারুল কবির একজন চিটার, অর্থ আত্বসাথকারী, বদচোর ফলে তার এ ধরনের লেখা শোভা পায় না। ভাল মানুষদের বিরুদ্ধে লেখার সাহস কোথা থেকে পান তিনি? আপনার সাহস থাকলে যশোরে তথা মণিরামপুরে এসে দেখুন আপনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কিভাবে ফুসে উঠেছে। এস এম ইয়াকুব আলী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ অসহায় মানুষকে আর্থিক ভাবে সাহার্য্য করে থাকেন। এ কারণে তিনি এলাকায় দানবীর নামে খুব পরিচিত হয়ে উঠেছেন। সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানহানির কারণে যশোর কোতয়ালী থানাসহ বিভিন্ন থানায় আনোয়ারুল কবিরের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা হয়েছে। এস এম ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানী ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এস এস ইয়াকুব আলীর পারসোনাল সহকারী। এছাড়া কোন যাচাই-বাছায় না করে যারা ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করছেন তারও আদালতের কোটের বারান্দায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।