04/21/2025 নড়াইলে সন্ত্রাস, দুর্ণীতিবাজ পীর মোহাম্মদ এর শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন
মোঃ বাবলু মল্লিক, নড়াইল প্রতিনিধি।।
২১ জুন ২০২২ ০৪:১৪
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল এলাকায় সন্ত্রাসী, দুর্ণীতিবাজ, ও শান্তি বিনষ্টকারী পীর মোহাম্মাদ ওরফে (কিছমত বিশ্বাস) সহ দোসরদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে আওয়ামীলীগ, আওয়ামীযুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সংগঠন সহ এলাকাবাসী । রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে নড়াগাতী থানার খাশিয়াল বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কিছমত বিশ্বাস ওই খাশিয়াল গ্রামের মৃত লাল মিয়া বিশ্বাসের ছেলে পীর মোহাম্মদ ( কিছমত)।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কিছমত বিশ্বাস সরকারী চাকুরীতে থাকাকালীন ব্যাপক দুর্ণীতি করে অঢেল সম্পতির মালিক বনে যান এবং সে কারণে কয়েকবার ধরা খেয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও তার দুর্নীতির ফিরিস্ত প্রকাশিত হয়েছিল। তার যথেষ্ট প্রমান তাদের কাছে রয়েছে বলে তারা জানান। অবসর গ্রহনের পর তিনি নিজ নামে দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স করে নেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে ওই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে তার পক্ষে থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন তিনি। ব্যাক্তিগত স্বার্থে তিনি এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে স্থানীয় পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিগত ১৯ মে কিছমত বিশ্বাস তার সহযোগী ভাগ্নে বদর শিকদারকে তার আরেকটি অস্ত্র দিয়ে দুজনে (১৬ মে) খাশিয়াল বাজার এলাকায় এসে খাশিয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ওই গ্রামের গ্রামের প্রবীন ব্যক্তিত্ব মিজানুর বিশ্বাস ও প্রবীন আওয়ামীগ নেতা আব্দুল ওহাব শেখের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বদর শিকদার অস্ত্র বের করে মিজানুর বিশ্বাসকে গুলি করতে গেলে পাশের লোকজন এসে ধরে ফেলে। অতঃপর এ ঘটনায় কেন্দ্র করে থানায় লিখিত অথবা মৌলিক অভিযোগ না করে কেছমত বিশ্বাস আদালতে মিথ্যা মামলা করে আওয়ামীলীগের ৪০/৪৫ জনকে আসামী করে হয়রানী করছেন ওই সন্ত্রাসীরা বলে জানান বক্তারা।
এছাড়া ওই ঘটনায় (১৬মে) কালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে দুর্ণীতিবাজ সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তরিকুল আলম মুন্নুর নেতৃত্বে মানববন্ধন করে তারা। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সমালোনা করে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে ৬ মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা বনিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে উপজেলার প্রায় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই কমান্ডার। কাজের কাজ কিছুই হয়নি এবং ওই টাকাও ফেরত দেননি তিনি। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা তার কাছে বার বার গেলেও অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে সটকে পড়েন। ভুক্তভোগীরা ওই কমান্ডারের সঠিক বিচারসহ টাকা ফেরতের দাবী জানান এবং দলীয় পরিচয় দিয়ে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকায় শান্তি বিনষ্টকারী কিছমত বিশ্বাসসহ দোসরদের সম্পত্তির হিসাব নেওয়ার জন্য দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনাসহ বিচারের আওতায় আনা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল ওহাব শেখ, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিশ্বাস, খাশিয়াল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি হিঙ্গুল ফকির, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি কাবির বিশ্বাস, আ,লীগ কর্মী তাইজল শেখ, রিপন শেখ ও সরাফত শেখসহ আরো অনেকে।