04/21/2025 গজারিয়া নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে বাধ র্নিমানের জন্য ইসমানীচর বাসীর মানববন্ধন
ওসমান গনি, গজারিয়া প্রতিনিধি।।
১৯ জুন ২০২২ ০৩:৪০
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে দেখা দিয়েছে গজারিয়া অংশে ভাঙ্গন। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর গ্রামের কয়েক শত পরিবারের। আজ শনিবার দুপর বারটায় ইসমানীরচর গ্রামের কয়শত নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এ সময় তাদের আশ্বাস করতে মানববন্ধনে উপস্থিত হয় পকৌশলি মামুুনুর রশিদ তিনি মানবন্ধনে আংশ নেওয়া গ্রামবাসীর উদ্যেশে বলেন আমি আপনাদেও এই নদী ভাঙ্গন বিষয়ে ২০০৯ সাল থেকে আবগত আমি আপনাদের এই নদী ভাঙ্গণ নিয়ে মানয়ি প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলে অতি দুরুত একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জি: সেলিম খাঁন বলেন, গত কয়েকদিনে ক্রমাগত ঢেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা বাসিন্দাদের মনে। ইসমানির চর ভাঙ্গন প্রবন এলাকায় এখন বড় আকার ধারণ কররেছে এখন যদি এই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না গ্রহন করা হয় তাহলে মানচিত্র থেকে ইসমানিচর গ্রাম টি বিলিন হয়ে যাবে। নদী ভাঙ্গন রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
মানববন্ধন করা এলাকাবাসী বলেন ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে তারা বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন নদী ভাঙ্গন কবলে পড়া পরিবার। একই অবস্থায় রয়েছে ইসমানির চর বাজার হতে উত্তরপাড়ার সোরাব মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত বসবাসরত পরিবারগুলো।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় দিয়েছিলেন নানান প্রতিশ্রুতি। তেমনিভাবে গত ২মার্চ ২০২০ইং নদীভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন ততকালিন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ইসমানির চর গ্রামের নদীভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী মানুষের ভোগান্তির কথা শোনেন এবং এসব এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিন্তু কালের বিবর্তনে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
গত ১২ ই আগস্ট বুধবার ২০২০ ইং আগামী কয়েক বছর পর বাংলাদেশের কোথাও নদী ভাঙ্গন থাকবে না এসব কথা বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। সে সময় উপমন্ত্রী গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন প্রবন দেড় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামুলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
মেঘনা নদী গজারিয়া অংশের সবচেয়ে ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা ইসমানির চর, হোসেন্দী, নয়নাগর, গোয়ালগাও ও চর বলাকী। প্রায় প্রতি বছরই এসব এলাকা নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনরোধে মেঘনা নদীর ইসমানির চর গ্রামের অংশে একটি বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও দীর্ঘদিনে সেটি নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ সময় উপস্থীত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি, ইঞ্জি: সেলিম খাঁন, ইলিয়াস মোল্লা মেম্বার, মোবারক খাঁন, রুহুল আমিন, ডা: সেবহান, মো: হারুন রশিদ, সোহেল রানা, সহ ভুক্তভোগি এলাকাবাসী