তাজাম্মূল হুসাইন।। মণিরামপুরের শ্যামকুড় ইউপির মাঝলাউড়ী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তঃস্বত্ত্বা নারীসহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং আরও একজন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতরা হলেন মাঝলাউড়ী গ্রামের এরশাদ আলী মোল্যার ছেলে মোকারম খাঁ (৪৭), ইশা খার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৪), এনামুল হকের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২০) ও আব্দুল মজিদের স্ত্রী ডলি বেগম (৩৯)। অপরদিকে যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একই গ্রামের বায়েজিদ আলম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ওই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ঘরের উপর বায়েজিদ আলমের মেহগনি গাছ ঝুকে পড়ায় ঝড়ো-বাতাসে প্রায় ঘরের ক্ষতি সাধন হয়। এ থেকে নিস্কৃতি পেতে আব্দুল হাকিমের ছেলে তাজাম্মুল হোসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন উভয়পক্ষকে শনিবার তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসময় বায়েজিদ পক্ষ তাজাম্মুল হোসেনকে ধাক্কা দেয়। এতে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় মারামারি হয়। অবশ্য চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিষয়টি তখন বেশি দূর গড়ায়নি।
পরে এরই জের ধরে তাজাম্মুল পক্ষ বায়েজিদ আলমকে মারপিট করলে তাকে যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বায়েজিদ পক্ষীয়রা তাজাম্মুল পক্ষদের খুজতে থাকে। তাজাম্মুলের চাচা মোকারম হোসেন মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াকালে তার দাড়ি ধরে টেনে মসজিদ থেকে বের করে এনে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে এবং লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তাজাম্মুল হোসেন দাবি করেন, এ ঘটনার জের ধরে বায়েজিদ পক্ষ পরদিন রোববার সকালে ফের তার পক্ষের লোকজনের বাড়িতে চড়াও হয়ে দেলোয়ার হোসেনকে বেদম মারপিট করে পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় বাধা দিতে বাড়ির মহিলাদের মারপিট করা হয়। এতে অন্তঃসত্ত্বা খাদিজাসহ ডলি খাতুনকে মারপিটের শিকার হন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
থানার ওসি নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় এক পক্ষের কাছ থেকে থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।