11/05/2025 কুড়িগ্রামের এক মানবতার ফেরিওয়ালা- আতিকা জাহান
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মার্চ ২০২২ ১০:০৮
সেই কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই দীর্ঘ ৩ বছর মানুষের সেবায় অসহায় মানুষের পাশে বললে ভুল হবে আতিকা জাহান দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর মানুষের সেবায় অসহায় মানুষের পাশে। একজন ছাত্রী তবে তার রয়েছে প্রবল ইচ্ছা ও ভালোবাসা মানুষের জন্য। এই ভালোবাসা আর ভালোলাগা থেকেই সে কাজ করে চলছেন তিনি।
তার এই দীর্ঘ কাজের ভিতর ক্ষুধার্ত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তৈরী করে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া। সময় পেলেই নিজ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ কখনও পোশাক কখনও বা প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের ব্যবস্থা করেন অসহায় মানুষের জন্য। কিন্তু তার এই বিতরণ কাজে কোন দল নেই। দলমত নির্বিশেষে একাই বিতরণ করে যাচ্ছেন। এই পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়ায়েছেন তিনি।
আতিকা জাহান দৈনিক সমসাময়িক নিউজকে বলেন, আমি ছোট বেলা বলতে বুঝতে শিখলে থেকেই মানুষের সেবা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কেননা এটা আমি মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো দায়িত্ব মনে করেছি তাই অসহায় সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমার নেশা । ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি, দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার সংগ্রাম। এই সংগ্রামটাই আমি অসহায়দের জন্য করছি।
শুধু খাদ্যসামগ্রীই নয় তিনি অসহায়দের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছেন করোনা কালে । নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছেন করোনার সময়টাতে সুস্থ থাকবার-বাড়িতে থাকবার। এক প্রশ্নের জবাবে আতিকা জাহান বলেন, এই অসহায়দের পেটে যতোদিন ক্ষুধা আছে ততদিন তাদের পাশে থাকতে চাই। এটাই আমার তৃপ্তি। অসহায় মানুষগুলো পেটপুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়, এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল। আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা চাল-ডাল পাওয়ার পরে তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
তার এই কাজের অর্থ আসে কোথা থেকে? প্রশ্নের জবাবে বলেন নিজের ফ্যামেলি বলতে বাবা ও ভাইয়েরা আমাকে পড়ালেখার জন্য যে খরচ দেয় তা থেকে টাকা বাঁচিয়ে এবং মায়ের সহযোগিতায়। আবার কখনো কখনো ফেসবুকে অসহায় মানুষের সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে অনেকে সহযোগিতা করেন।
পরিশেষে তিনি আরো বলেন অসহায়,অবহেলিত ও পথশিশুদের নিজের মতো বাঁচার সহযোগী করা আমার শখ। ছোটো থেকে স্বপ্ন ছিলো অসহায় অবহেলিত এবং পথশিশুদের জন্য কাজ করার, আল্লাহ হয়তো আমার কথা শুনেছে, এটাই আমার সব থেকে বড় পাওয়া এটা।
এতক্ষণ বলছিলাম রাজারহাট, কুড়িগ্রাম (ছিনাই), কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মোছাঃ আতিকা জাহান এর কথা। আতিকা জাহান ব্যবসায়ী বাবা ও চার ভাইয়ের একমাত্র আদরের দোলালি। খুব সাধারণ একটা মেয়ে সাধারণ ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে, খুব সহজে যে কোনো মানুষের সঙ্গে মিশে যা-ই।