- মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।।
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জনাব সেখ কনি মিয়া এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) রাজিউল আমিন, সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে রূপসা থানাধীন ইলাইপুর চৌ-রাস্তার মোড়ে অবস্থানকালে গোপন সূত্রে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করা সহ মজুদ রাখার কথা জানিতে পারিয়া মামলার ঘটনাস্থল রূপসা থানাধীন ইলাইপুর গ্রামস্থ ধৃত আসামী ১। রত্না বেগম(৩৫), পিতা-আবুল কালাম হাওলাদার, স্বামী-নাছির উদ্দিন হাওলাদার, সাং-বাগমারা, বর্তমান সাং-ইলাইপুর, থানা-রূপসা, জেলা-খুলনা এর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তাকে ধৃত পূর্বক তার প্রাচীর বেষ্টিত বসত বাড়ীর বসত ঘরের পশ্চিম পার্শে পানি তোলার মটরের ট্যাংকের উপর মটর সাইলের কভার দ্বারা ঢাকা কাপড়ের তৈরী নীল ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে জলপাই রংয়ের ফ্লোরটাচ কামিজ এর নিচ হইতে ১০(দশ) বোতল ফেন্সিডিল ও হলুদ কসটেপ ও বাশপাতা কাগজে মোড়ানো ০১(এক) কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা আসামি নিজ হাতে বাহির করিয়া দিলে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সেখ কনি মিয়া উক্ত ১০(দশ) বোতল ফেন্সিডিল ও ০১(এক) কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার পূর্বক উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ২৮ অক্টোবর ২০ তারিখ রাত্র ২০.৩০ ঘটিকায় সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সেখ কনি মিয়া, অফিসার ইনচার্জ, বাদী হয়ে রূপসা থানায় আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। ।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ অক্টোবর ২০ তারিখ রত্না বেগম এর স্বামী মাদকদ্রব্য সহ ধৃত হওয়ার কারনে উক্ত ফেন্সিডিল ও গাঁজা রূপসা থানা এলাকার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের বিক্রয় করার কথা স্বীকার করে। রত্না বেগম ও তার স্বামী নাছির উদ্দীন হাওলাদার দীর্ঘদিন যাবৎ যশোর জেলার বেনাপোল হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও গাঁজা ক্রয় করিয়া রূপসা থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। আসামী মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও গাঁজা ক্রয়/বিক্রয় করে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আসামি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। ধৃত আসামি রত্না বেগম ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।