সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চট্টগ্রামে পটিয়া পৌর সদর বৈলতলী রোড়ে আলম শাহ সড়ক সংলগ্ন হাজী আবদুস সাক্তার জামে মসজিদের আওতাধীন এতিমখানা ভাংচুর লুটপাট তান্ডব চালানো ঘটনায় মসজিদের মুসল্লীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। মসজিদের মুতওল্লী আবু ফরিদ জানান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ধর্মমন্ত্রীসহ উর্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অনুসন্ধান তথ্য
সুএে জানাযায়,পটিয়া পৌরসদরের বৈলতলী রোডস্থ আলম শাহ সড়কে হাজী আবদুস ছত্তার জামে মসজিদের এতিমখানা নির্মানে বিরম্ভনার শিকার হয়েছে মসজিদ কমিটি। এতিমখানার জন্য ক্রয়কৃত জায়গা পাশ্ববর্তী ভূমি মালিক মুছাগং দখল করতে চাইলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ্এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর গোফরান রানা, শফিকুর রহমান, কামাল উদ্দিন বেলাল, সাবেক কমিশনার হাসান মুরাদ, শোভনদন্ডী ইউপি আ.লীগ সভাপতি আবুল হাসান খোকন ও মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে ভূমি পরিমাপ পূর্বক এতিমখানার জন্য ক্রয়কৃত জায়গার সীমানা চিহ্নিত করে। পার্শ্ববর্তী মুছাদের জায়গাতেও সীমানা চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে এতিমখানার জায়গায় ও মুছাদের জায়গায় নিজ নিজ খরচে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে উভয়পক্ষ ভূমি বুঝে নেয়। অতঃপর ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল এতিমখানা নির্মানের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল। এ সংক্রান্তে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতিমখানার পার্শ্বের জায়গা ক্রেতা মুছাগং বুঝে নিয়ে মুছা প্রবাসে চলে যায়। কিন্তু এরপর সালিশকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুছার স্ত্রী ফারজানা আকতার এতিমখানার জায়গা দখল করতে চাইলে যত বিপত্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর মসজিদের মোতায়াল্লী হাজী আবুল কালাম পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন। এর আগে ফারজানা আকতার মসজিদ কমিটির লোকজনকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং সি.আর-৫৫৯/২১ ইং। মামলাটি পিবিআই চট্টগ্রাম তদন্ত করছ্।ে গত ৮ জানুয়ারি গভীর রাতে একটি কিশোর গ্যাং চক্র এতিমখানার বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির লোকজন মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। এছাড়া গত ১০ জানুয়ারি আবুল কালাম বাদী হয়ে ফারজানা আকতার সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। গত ১৩ জানুয়ারি মসজিদ কমিটি এতিমখানার জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করলে পটিয়া সিনিয়র ১ম সহকারী জর্জ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ১৮ জানুয়ারি উক্ত জায়গায় উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। ব্যাপারে মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লী হাজী আবুল কালাম জানান, স্থানীয় মরহুম দুদু মিয়ার পুুত্র মাহমুদুর রহমান থেকে প্রবাসী হাজী আবুল বশর মসজিদের পার্শ্বে এতিমখানা নির্মানের জন্য ২.৪০ শতক জায়গা ক্রয় করার পর মুছাগং উক্ত জায়গা দখল করতে চাইলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ নিষ্পত্তি করে দেয়ার পরও মুছার স্ত্রী ফারজানা আকতার অসৎ উদ্দেশ্যে এতিমখানার জায়গাটি দখল করতে চাইলে এ বিপত্তি দেখা দিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।